স্বর্ণের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর তা দীর্ঘমেয়াদে উচ্চেই থাকবে এমন প্রত্যাশায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বসবাসকারী বাসিন্দারা বাড়তি আগ্রহ দেখাচ্ছেন স্বর্ণে সঞ্চয় ও বিনিয়োগে। বিশেষ করে সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করতে এই প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
গত সপ্তাহে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ প্রতি গ্রাম ৪৪০.৫ দিরহাম ছুঁয়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছিল, যা পরে ছুটির দিনে আবারও ছুঁয়ে যায়। এরপর কিছুটা কমে ২৪ ক্যারেট বিক্রি হচ্ছে ৪৩৮.৭৫ দিরহাম, ২২ ক্যারেট ৪০৬.২৫ দিরহামে।
আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট গোল্ড গত সপ্তাহে $৩,৬৫০ ছাড়িয়ে যায়, যার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমার প্রত্যাশা, দুর্বল শ্রমবাজার, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রয় ও বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা বড় ভূমিকা রাখে।
লিয়ালি জুয়েলারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনুরাগ সিনহা জানান, আমিরাতে প্রবাসী ও স্থানীয় অনেক বাবা-মা সন্তানদের জন্য সোনায় বিনিয়োগ করছেন। এটি একদিকে যেমন ঐতিহ্যবাহী উপহার, তেমনি ছোট বয়স থেকেই আর্থিক শিক্ষাও দেওয়ার একটি উপায়, বলেন তিনি।
আমিরাতে স্বর্ণের সঞ্চয় প্রকল্পগুলো সাধারণত মাসিক নির্দিষ্ট অঙ্ক জমা করার সুযোগ দেয়। নির্দিষ্ট সময় শেষে গ্রাহক এই অর্থ দিয়ে স্বর্ণের গয়না কিনতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে, জুয়েলারির পক্ষ থেকেও কিছু অতিরিক্ত অর্থ যোগ করা হয়, যা প্রকল্পটিকে আরও লাভজনক করে তোলে।
এসব প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ সঞ্চয় রূপ নেয় এক ধরনের মূল্যবান ও তরল সম্পদে, যা ভবিষ্যতের উৎসব, বিয়ে কিংবা জরুরি প্রয়োজনে কাজে লাগে।
আরব ও ভারতীয় পরিবারে সন্তানদের জন্য স্বর্ণ কেনা বহু পুরনো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এটি কেবল সম্পদ ও মর্যাদার প্রতীক নয় বরং এক নিরাপদ আর্থিক সম্পদ হিসেবেও বিবেচিত, যার মূল্য সময়ের সঙ্গে স্থিতিশীল থাকে।
বিশেষ করে কন্যাসন্তানের জন্য জন্ম, বিয়ে ও ধর্মীয় উৎসবের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সোনার গয়না বা কয়েন উপহার দেওয়া হয়। এটি ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
সূত্র: খালিজ টাইমস
এমকে/এসএন