পঞ্চাশ বছর পূর্ণ করল পিংক ফ্লয়েডের অমর সৃষ্টি উইশ ইউ ওয়্যার হিয়ার। এই বিশেষ উপলক্ষে ব্যান্ডটি ঘোষণা করেছে অ্যালবামটির সুবর্ণ জয়ন্তী পুনঃপ্রকাশ।
আগামী ১২ ডিসেম্বর এটি প্রকাশ করবে সনি মিউজিক এন্টারটেইনমেন্ট। নবসংযোজিত সংস্করণে থাকছে তিন ডিস্কের ভিনাইল, দুই ডিস্কের সিডি সংস্করণ এবং বিশেষ বক্স সেট। বক্স সেটে যোগ হয়েছে আরও একটি লাইভ অ্যালবাম, যা ১৯৭৫ সালে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে রেকর্ড করা হয়েছিল। সঙ্গে থাকছে ব্লু-রে, যেখানে সংকলিত হয়েছে সেই সময়ের তিনটি কনসার্ট চলচ্চিত্র ও গ্রাফিক ডিজাইনার স্টর্ম থরগারসনের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি।
শ্রোতারা ইতিমধ্যেই শুনতে পাচ্ছেন ওয়েলকাম টু দ্য মেশিন-এর একটি ডেমো সংস্করণ, যা নতুন নামে প্রকাশিত হয়েছে দ্য মেশিন সং (ডেমো #২, রিভিজিটেড) হিসেবে। অ্যালবামটি মূলত উৎসর্গ করা হয়েছিল ব্যান্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাথমিক কণ্ঠশিল্পী সিড ব্যারেটকে, যিনি মানসিক সমস্যার কারণে সাত বছর আগেই ব্যান্ড ছেড়ে যান। অ্যালবামের মূল গানগুলোতে রজার ওয়াটার্স ও ডেভিড গিলমোর ভাগ করে নিয়েছিলেন কণ্ঠ। শাইন অন ইউ ক্রেজি ডায়মন্ড-এর দুই অংশ গেয়েছিলেন ওয়াটার্স, আর উইশ ইউ ওয়্যার হিয়ার ও ওয়েলকাম টু দ্য মেশিন পরিবেশন করেছিলেন গিলমোর। হ্যাভ এ সিগার-এ অতিথি কণ্ঠ দিয়েছেন গায়ক রয় হারপার।
অ্যালবামটির কভারের নেপথ্য কাহিনীও আজ কিংবদন্তি। ব্রিটিশ ডিজাইন কালেকটিভ হিপগনোসিসের সহপ্রতিষ্ঠাতা অব্রি পাওয়েল মনে করিয়ে দেন, সত্তরের দশকে প্রচ্ছদ ছিল অ্যালবাম বিক্রির বড় হাতিয়ার। তিনি বলেন, হাজারো প্রচ্ছদের ভিড়ে ভিন্নভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। কভার ডিজাইনের সময় সহকর্মী থরগারসনকে তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আমরা কীভাবে একজন মানুষকে আগুনে জ্বালাব?’ তখন ডিজিটাল কোনো কৌশল ছিল না। তাই বাস্তবেই সেই দৃশ্য ধারণ করতে হয়েছিল। এই বাস্তবতা অ্যালবাম কভারকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা।
উইশ ইউ ওয়্যার হিয়ার শুধু সংগীতেই নয়, ধারণা ও নান্দনিকতায় পিংক ফ্লয়েডকে নিয়ে গিয়েছিল অন্য এক উচ্চতায়। পাঁচ দশক পরও সেই সুর আজও সমানভাবে আলো ছড়াচ্ছে। সুবর্ণ জয়ন্তীর এই পুনঃপ্রকাশ সংগীতপ্রেমীদের জন্য নিঃসন্দেহে এক বিরল উপহার হয়ে আসছে।
টিকে/