পাকিস্তানের জনপ্রিয় শিশু তারকা আহমদ শাহ’র ছোট ভাই উমের শাহ ইন্তেকাল করেছেন। বিষয়টি পারিবারিক সূত্রে নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম সামা টিভি।
আহমদ শাহ’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, ‘দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের পরিবারের ছোট্ট উজ্জ্বল তারা উমের শাহ আল্লাহর কাছে ফিরে গেছেন। সকলকে অনুরোধ করছি তার ও আমাদের পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।’
যেভাবে মারা গেল উমের শাহ
খ্যাতনামা টেলিভিশন অ্যানকার ওসম বদামি আহমদ শাহ এবং তার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছেন। তিনি জানান, উমের শাহ ফজরের নামাজের সময়ই ইন্তেকাল করেছেন। তিনি একটি আবেগঘন ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ডাক্তারদের তথ্যমতে, তার বমি ফুসফুসে ঢুকে গিয়ে শ্বাসনালী বন্ধ করে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, যা শেষ পর্যন্ত হৃদরোগে আক্রান্ত করে।’
বদামি ভিডিও বার্তায় দৃশ্যত বিচলিত ছিলেন এবং সবাইকে উমের শাহ ও তার পরিবারের জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এই ঘটনাকে ‘আস্পিরেশন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যেখানে পেটের বিষয়বস্তু ফুসফুসে প্রবেশ করলে শ্বাসনালীর বন্ধ এবং মারাত্মক প্রদাহ হতে পারে। চিকিৎসা না নিলে এটি মিনিটের মধ্যে অক্সিজেনের অভাব এবং হৃদরোগের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে, এই সংবাদে পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভক্তরা শোকাহত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোকবার্তা ও সমবেদনা জানাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।
প্রসঙ্গত, ‘পাঠান কা বাচ্চা’ খ্যাত আহমদ শাহ প্রথম আলোচনায় আসেন টিকটকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর মাধ্যমে। সেখানে তার মুখের বুলি ‘পিছে দেখো, পিছে’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলে। অল্প সময়েই এই অডিও ব্যবহার করে হাজারো ভিডিও তৈরি হয় টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে।
গোলগাল চেহারা ও হাসিখুশি স্বভাবের কারণে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন আহমদ শাহ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি পাকিস্তানের ঘরে ঘরে পরিচিত নাম হয়ে ওঠেন।
উমের শাহও বড় ভাইয়ের সঙ্গে প্রায়ই ভিডিওতে উপস্থিত থাকতেন। তাদের দু’জনের মিষ্টি আচরণ ও খেলাধুলা ভরা মুহূর্ত দর্শকদের হৃদয় জয় করেছিল।
এমকে/এসএন