ডায়াবেটিসের ওষুধে হৃদরোগের ঝুঁকি

টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগী সেবন করেন এমন দুটি সাধারণ ওষুধ থেকে কার্ডিওভাসকুলার ডিসিস যথা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক কিংবা হার্টের কার্যহীনতা ইত্যাদির উচ্চ ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি জামা নেটওয়ার্ক ওপেন জার্নালে প্রকাশিত নর্থওয়েস্টার্ন মেডিসিনের এক গবেষণায় এ তথ্য ওঠে এসেছে।

বর্তমান বিশ্বের খুব সাধারণ একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে টাইপ-২ ডায়াবেটিস। আর এ রোগের চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এমন দুটি সাধারণ ওষুধ হচ্ছে- সালফোনিলুরিয়াস ও বেসাল ইনসুলিন।

গবেষণা বলছে, এ দু’টি ওষুধের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদরোগের ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। পর্যবেক্ষণমূলক এই গবেষণায় ১৩২,৭৩৭ জন টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীর উপর গবেষণা করা হয়।

গবেষণায় দেখা যায়, মাধ্যমিক পর্যায়ের ওষুধ নিতে হয়, এমন ডায়াবেটিস রোগীদের ৬০ ভাগ এই দু’টি ওষুধ সেবন করেন। এক্ষেত্রে যারা ডায়াবেটিসের নতুন ওষুধ ডিপিপি-৪ সেবন করেন, তাদের তুলনায় যারা এই দু’টি ওষুধ কোন একটি ব্যবহার করেন তাদের কার্ডিওভাসকুলার ডিসিসের ঝুঁকি বেশি।

এনইউ ফিনবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক এবং প্রধান গবেষক মেথু ও’ব্রেইন বলেন, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক কিংবা হার্টের কার্যহীনতা ইত্যাদির উপর এই দু’টি ওষুধের প্রভাব জানতে এই গবেষণায় গত দুই বছর ধরে ৩৭ জন রোগীকে কেবল বেসাল ইনসুলিন ও ১০৩ জনকে কেবল সালফোনিলুরিয়াস ওষুধ দেয়া হয়েছে।

এটা থেকে বুঝা যায়, যে লাখ লাখ রোগীকে এই দু’টি ওষুধের পরামর্শ দিয়ে চিকিৎসকরা কিভাবে তাদের মারাত্মক ক্ষতি করছেন- বলেছেন গবেষক মেথু ও’ব্রেইন।

তাই গবেষকরা ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় সালফোনিলুরিয়াস ও বেসাল ইনসুলিনের পরিবর্তে অন্যান্য নতুন ওষুধ যেমন- জিএলপি-১ বা লিরাগ্লুটাইড, এসজিএলটি-২ বা এমপাগ্লিফ্লোজিন, ডিপিপি-৪ বা সিটাগ্লিপটিন ইত্যাদি ওষুধ সুপারিশ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

 

টাইমস/এএইচ/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
টানা ৩ ম্যাচে ডাক, বিব্রতকর রেকর্ড সাইমের Sep 17, 2025
img
১০ টাকায় ইলিশ বিতরণ করতে গিয়ে বিপাকে এমপি প্রার্থী Sep 17, 2025
img
পালানোর সময় ১৭ বিয়ে করা বরিশালের সেই বন কর্মকর্তা আটক Sep 17, 2025
img
বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে কাজ পাচ্ছেন না সামান্থা Sep 17, 2025
img
সবাই নিজের কাজে মন দিন, বাগদান জল্পনার মাঝে হুমা কুরেশি Sep 17, 2025
img
৩ দিক থেকে আসছে ট্যাংকের বহর, গাজা ছাড়তে ৪৮ ঘণ্টার জন্য নতুন রুট Sep 17, 2025
img
বিচারের আগে আওয়ামী লীগ ও জাপাসহ ১৪ দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: রাশেদ Sep 17, 2025
img
এক লাখের বেশি বিদেশি কর্মীকে ওয়ার্ক পারমিট দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া Sep 17, 2025
img
বাংলাদেশের সমর্থকরাও আমাদের জয়ের অপেক্ষা করছে: শানাকা Sep 17, 2025
img
ফ্যাসিবাদের মতো কঠিন রোগ সরাতে পেরেছি, তামাক দূর করতে পারব না কেন: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Sep 17, 2025
img
সাড়ে ৩ হাজার চিকিৎসকের যোগদান শিগগিরই : স্বাস্থ্যের ডিজি Sep 17, 2025
img
পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট Sep 17, 2025
img
যারা গুপ্তভাবে কাজ করে তারাই অনিয়মের পথ বেছে নেয় : টুকু Sep 17, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকার আইন ও বিচার ব্যবস্থায় অমূল পরিবর্তন করেছে: আসিফ নজরুল Sep 17, 2025
img
মামলার ভয় দেখিয়ে পুলিশের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ Sep 17, 2025
img
গ্রেপ্তার এড়াতে শ্রমিক সেজেছিলেন, তবুও শেষ রক্ষা হলো না ছাত্রলীগ নেতার Sep 17, 2025
img
জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর Sep 17, 2025
img
আগে বায়ার্ন মিউনিখকে হারাই, তারপর পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবব: চেলসি কোচ Sep 17, 2025
img
শরতের আবহে মিমের মুগ্ধতা Sep 17, 2025
img
ড. ইউনূসের সফরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে প্রস্তুত থাকবে নিউইয়র্ক পুলিশ Sep 17, 2025