গাজায় দুর্ভিক্ষ আরও ভয়াবহ, খাদ্য সহায়তা আটকে দিচ্ছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলি হামলায় পুষ্টি সহায়তা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে এবং খাদ্যবাহী সহায়তা মিশন আটকে দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান চলতে থাকায় সেখানকার মানবিক পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয়-বিষয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ)-এর তথ্য তুলে ধরে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানান, গত ১০ দিনে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স বাহিনী ৫০টির বেশি উদ্ধার ও পুনরুদ্ধার অভিযান চালিয়েছে।

ডুজারিক বলেন, ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজার পুষ্টি সহায়তা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এক মাস আগে এখানকার গাজা গভর্নরেটে দুর্ভিক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছিল। এখনো সেখানকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

তিনি জানান, পুষ্টি কার্যক্রমে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী প্রায় অর্ধেক চিকিৎসা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে নতুন রোগী শনাক্তকরণ ও শত শত শিশুর চিকিৎসা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।

গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার সীমিত রাখার প্রসঙ্গে ডুজারিক বলেন, “আজ ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বিত ১২টি মানবিক মিশনের মধ্যে সাতটি চালানো সম্ভব হয়েছে। আমাদের দল কেরেম শালোম থেকে কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে পেরেছে। তবে খাদ্যবাহী দুটি মিশন আটকে দেওয়া হয়েছে।”

জাতিসংঘ মুখপাত্র আরও জানান, হতাশাগ্রস্ত পরিবারগুলো গাজা সিটি ছেড়ে দক্ষিণের খান ইউনিস ও দেইর আল-বালাহর দিকে চলে যাচ্ছে। কিন্তু সেসব এলাকায় নতুন আশ্রয়প্রার্থীদের রাখার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর বারবার উচ্ছেদ নির্দেশনার কারণে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ইতোমধ্যেই গাদাগাদি অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় গাজার উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছানো একেবারেই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

ইএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে ইসি

নির্বাচনের আগে ও পরে সমগ্র দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা হবে Oct 20, 2025
img
চলছে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন Oct 20, 2025
img
ট্রাফিক আইনে ডিএমপির ১৩০১ মামলা Oct 20, 2025
img
পেসার তারকা তানজিম হাসান সাকিবের জন্মদিন আজ Oct 20, 2025
img
জিপিএমএস প্রস্তুত করে নির্ধারিত সফটওয়্যারে জমা দেওয়ার অনুরোধ Oct 20, 2025
img
২ ক্রিকেট তারকা বীরেন্দ্র শেহবাগ ও মিচেল মার্শের জন্মদিন আজ Oct 20, 2025
img
গাজা সঠিকভাবে পরিচালনা করা হবে: ট্রাম্প Oct 20, 2025
img
বলিভিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন রদ্রিগো পাজ Oct 20, 2025
img
ড্যাপ সংশোধনী ও ইমারত বিধিমালা নীতিগত অনুমোদন Oct 20, 2025
img
শহীদ মিনারে গিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ বিএনপি নেতা এ্যানির Oct 20, 2025
img
কর্মবিরতি প্রত্যাহার, স্বাভাবিক চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম Oct 20, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলি হামলার পরও যুদ্ধবিরতি বহাল আছে: ট্রাম্প Oct 20, 2025
img
বাস্তবায়ন পদ্ধতি ছাড়া জুলাই সনদের কোনো মূল্য নেই : সারোয়ার তুষার Oct 20, 2025
img
বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলায় তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার Oct 20, 2025
img
পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ‘জুলাই সনদ' Oct 20, 2025
img

জবি শিক্ষার্থীকে হত্যা

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস স্থগিত ও দুই দিনের শোক ঘোষণা Oct 20, 2025
img
বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, কমবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা Oct 20, 2025
img
বিপিএল থেকে সরে দাঁড়াল ফরচুন বরিশাল! Oct 20, 2025
img
নারীর ক্ষমতায়ন উন্নয়নকে গতিশীল করে : ইইউ রাষ্ট্রদূত Oct 20, 2025
img
রাজধানীতে সিআইডি সদস্যের উপর হামলা, মোবাইল-মানিব‍্যাগ ছিনতাই Oct 20, 2025