গ্রিক উপকূল থেকে ১৪৫ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার

গ্রিসের দ্বীপ ক্রিটের দক্ষিণে এবং গাভদোসের জলসীমায় তিনটি পৃথক অভিযানে মোট ১৪৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। যৌথ উদ্ধার সমন্বয় কেন্দ্রের (জেআরসিসি) তত্ত্বাবধানে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থা ফ্রন্টেক্সের সহায়তায় এই অভিযানগুলো পরিচালনা করা হয়।

প্রথম অভিযানটি শুরু হয় ফ্রন্টেক্সের একটি ড্রোনের তথ্যের ভিত্তিতে। গ্রিক কোস্ট গার্ডের একটি টহল নৌকা ৩৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে একটি ছোট নৌকা থেকে উদ্ধার করে এবং তাদের কোরা স্ফাকিওন বন্দরে নিয়ে যায়। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এই অভিযানে কোনো বেগ পেতে হয়নি বলে কোস্ট গার্ড জানিয়েছে।

এর আগের দিন, আরও দুটি অভিযানে ১০৯ জনকে উদ্ধার করা হয়। একটি ডিঙ্গি নৌকা থেকে ৪৩ জনকে উদ্ধার করে ফ্রন্টেক্সের একটি জাহাজ এবং অন্য আরেকটি ডিঙ্গি নৌকা থেকে ৬৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। উভয় দলের সবাইকে গাভদোসের বন্দরে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়েছে।

এদিকে, গ্রিস সরকার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়ায় কঠোরতা এনেছে। ১১ জুলাই থেকে তিন মাসের জন্য উত্তর আফ্রিকা থেকে আসা অভিবাসীদের আশ্রয় আবেদন স্থগিত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আসা অভিবাসীদের আটক করে লিবিয়া বা তিউনিশিয়ায় ফেরত পাঠানো হবে বলে সরকার জানিয়েছে।

গ্রিসের অভিবাসন ও আশ্রয় মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, সোমবার থেকে আশ্রয় সেবা বিভাগ আবারও আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত জানাতে শুরু করেছে। এর আগে, ১৯ সেপ্টেম্বর এই সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছিল। নতুন আইন অনুযায়ী, যাদের আশ্রয় আবেদন বাতিল হয়েছে, তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। স্বেচ্ছায় না ফিরলে কারাদণ্ড দেওয়া হবে। নতুন আইনে অনিয়মিতভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের জন্য দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত গ্রিস ১৬ হাজার ৫৯০টি আশ্রয় আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, যার মধ্যে ৪ হাজার ৭১৯টি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। গ্রিক সংবাদমাধ্যম কাথিমেরিনি জানিয়েছে, বর্তমানে ২৭ হাজার ১৫টি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যার মধ্যে আনুমানিক ৯ হাজার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হতে পারে।

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফুরফুরে মেজাজে বাংলাদেশের আজ ভারত পরীক্ষা Sep 24, 2025
img
আইসিসি স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ Sep 24, 2025
img
আগামী নির্বাচন সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করবেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব Sep 24, 2025
img
সৌদির ঐতিহ্যবাহী পোশাকে রোনালদো Sep 24, 2025
img

মানবতাবিরোধী অপরাধ

শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন এ মামলার বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা Sep 24, 2025
img
২৪ সেপ্টেম্বর পালন করা হয় ‘মীনা দিবস’ Sep 24, 2025
আপনি কি হাদিসে জিব্রাইল চিনেন? | ইসলামিক প্রশ্নোত্তর Sep 24, 2025
img
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে আরও ১৯ জনকে বিএসএফের পুশ ইন Sep 24, 2025
img
রুপার দামেও নতুন রেকর্ড, ভরি কত? Sep 24, 2025
img
নিউইয়র্কে ইরানি কূটনীতিকদের জন্য কেনাকাটায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা Sep 24, 2025
img
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করলেই নোবেল শান্তি পুরস্কার, ট্রাম্পকে জানালেন ম্যাক্রোঁ Sep 24, 2025
img
জাতীয় পুরস্কারের তালিকায় শাহরুখের সঙ্গে আর কারা ছিলেন? Sep 24, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্যারিসের মেয়রের সাক্ষাৎ Sep 24, 2025
মন খারাপ দূর করার উপায় | ইসলামিক টিপস Sep 24, 2025
প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পেলেন শাহরুখ! Sep 24, 2025
img
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক প্রকাশ Sep 24, 2025
img
জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে ভিন্ন সুরে ট্রাম্প Sep 24, 2025
img
মেসি-রোনালদো বিতর্কে নিজের মত দিলেন ম্যাক অ্যালিস্টার Sep 24, 2025
img
বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর লাহোর, ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ Sep 24, 2025
img
শাহরুখের এওয়ার্ড এর জন্য বিশেষ ‘শোকেস’ বানাচ্ছেন গৌরী খান Sep 24, 2025