বিসিবি নির্বাচনের নতুন তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল গতকাল (২৩ সেপ্টেম্বর)। যার প্রেক্ষিতে আজ বুধবার ছিল বিসিবির সংশোধিত খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি গ্রহণের দিন। নির্বাচন কমিশনে সারাদিনে ২৯টি মতো আপত্তি জমা পড়েছে বলে জানা গেছে। এইসব আপত্তির ওপর আগামীকাল শুনানি হবে।
আপত্তিগুলোর মধ্যে একটি রয়েছে ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের হয়ে কাউন্সিলরশিপ নেয়া তামিম ইকবালকে নিয়ে। যে চিঠি দেয়া হয়েছে সেখানে সাবেক ক্রিকেটার হালিম শাহর স্বাক্ষর রয়েছে। সেই চিঠিতে দেখা গেছে দাবি করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর না নেওয়ায় বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তামিম কাউন্সিলর হতে পারেন না।
এ বিষয় নিয়ে হালিম শাহ সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দেশের একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, 'আমি কোনো চিঠি দেইনি। সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে দেশে এসেছি। গত কয়েক দিন এবং আজ বোর্ডে যায়নি। আমি এই নির্বাচনে কোনো কিছুতে সম্পৃক্ত না।'
হালিম শাহ ছিলেন মূলত দেশের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটার। ঘরোয়ার তারকা ক্রিকেটার হলেও কখনো জাতীয় দলে সুযোগ পাননি। হালিম শাহ গেল দুই দশক ধরে কানাডা থাকেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে তার সরাসরি কোনো সম্পৃক্ততা নেই অনেক দিন ধরেই। তার ছেলে কাজেম শাহ জাতীয় ফুটবল দলে খেলেন। মূলত ছেলের খেলা দেখতেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে আসেন তিনি।
এদিকে তামিম ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের কেউ নন এবং তাকে ক্লাবের কাউন্সিলর করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও দাবি করা হয়েছে আপত্তিপত্রে। তবে জানা গেছে, ক্লাবটির যুগ্ন সম্পাদক তামিম। এদিকে ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমি থেকে কাউন্সিলর হওয়ার কথা থাকলেও তা পাননি বর্তমান বোর্ডের পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু।
তিনিও নির্বাচন কমিশনে আপত্তি জমা দিয়ে বলেন, ‘দুদক একটি অভিযোগ দিয়েছে মাত্র। ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে সে অভিযোগ এখনো প্রমাণিত হয়নি। অভিযোগ প্রমাণিত না হলে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। সে জন্য বিসিবির সভায় এই ১৫টি ক্লাবকে নির্বাচনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তাহলে নির্বাচন কমিশন তাদের বাদ দেয় কীভাবে।’
সাবেক বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদকে নিয়েও জমা পড়েছে আপত্তি। কেননা তিনি রাত সাড়ে ৮টায় আবেদন জমা দিয়েছিলেন, যা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর। তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমির সৈয়দ বোরহানুল হোসেন বিসিবিতে আপত্তি জানাতে এসে বলেন, ‘কাউন্সিলরদের ফরম জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল সন্ধ্যা ছয়টা, কিন্তু ফারুক আহমেদের ফরম জমা পড়েছে রাত সাড়ে আটটায়। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
ইএ/টিএ