সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে সম্ভাবনা জাগিয়েও পারল না বাংলাদেশ। ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরে গেল ৪১ রানের বড় ব্যবধানে। ফলে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠতে পাকিস্তানকে হারানোর বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। ভারত ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততে চান বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জাকের আলী অনিক।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করে শুরুটা দারুণ করে ভারত। ওপেনিং জুটিতেই দলটি তোলে ৭৭ রান। অভিষেক শর্মা এবং শুভমান গিলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এমন সূচনা পায় বাংলাদেশ। এরপর রিশাদ হোসেন পরপর দুই ওভারে তুলে নেন ১৯ বলে ২৯ রান করা গিল এবং তিন নম্বরে প্রোমোশন পাওয়া শিভম দুবেকে।
এরপর ১১ বলে পাঁচ রান করা সূর্যকুমার যাদবকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। তানজিম হাসান সাকিব বিদায় করেন তিলক ভার্মাকে। হার্দিক পান্ডিয়ার ২৯ বলে ৩৮ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ছয় উইকেটে ১৬৮ রান তোলে ভারত। দারুণ শুরু পাওয়া ভারতের রানের লাগাম ধরে রাখতে বড় ভূমিকা রাখেন ২৭ রানে দুই উইকেট নেয়া রিশাদ। সাইফ হাসান দুই ওভারে মাত্র সাত রান দিলেও উইকেট পাননি।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে তানজিদ হাসান তামিমকে হারালেও সাইফের সৌজন্যে রান তুলতে থাকে বাংলাদেশ। ১৯ বলে ২১ রান করা পারভেজ হোসেন ইমন কুলদিপ যাদবের বলে ফিরে যাওয়ার পর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সাইফ হাসান ৫১ বলে ৬৯ রান করেন। ১৯.৩ ওভারে ১২৭ রানে গুঁটিয়ে যায় বাংলাদেশ। কুলদিপ, বরুণ চক্রবর্তী এবং জসপ্রিত বুমরাহর সামনে পুরোপুরি অসহায় ছিলেন তাওহীদ হৃদয় (৭), শামীম পাটোয়ারি (০), জাকের (৪) এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনরা (৪)।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি হেরে যাওয়ায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিই এখন বাংলাদেশের জন্য অলিখিত সেমিফাইনাল। এই ম্যাচে যে দল জিতবে, সেই দলই ভারতের বিপক্ষে খেলবে এশিয়া কাপের ফাইনাল।
ম্যাচ শেষে জাকের বলেন, 'এটা বেশ বিস্ময়কর, কিন্তু আমি প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। বোলিংয়ে পুরো কৃতিত্ব ছেলেদেরই প্রাপ্য, দশ ওভারের পর তারা দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছিল। এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু নেওয়ার আছে, আমাদের আগামীকাল আরেকটি ম্যাচ আছে।'
এই ম্যাচে শেখ মেহেদীকে খেলায়নি বাংলাদেশ। তার জায়গায় দলে আসেন রিশাদ হোসেন। তাসকিন আহমেদও ছিলেন বেঞ্চে। পাকিস্তানের বিপক্ষে তাকেও খেলাতে পারে বাংলাদেশ। অধিনায়ক লিটন সাইড স্ট্রেইনের চোটে থাকায় অধিনায়কত্ব করতে হয় জাকেরকে।
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আরো বলেন, 'আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা আগামীকাল জিততে পারি এবং ফাইনাল খেলতে পারি। দেখি কী ধরনের কম্বিনেশনে নামি, তবে আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করব।'
এমআর