‘কান্তারা’ ছবির জাদু যেন শেষ হতে জানেই না। ঋষভ শেট্টির এই ছবিটি মাত্র ১৬ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত হলেও বিশ্বজুড়ে আয় করেছে ৩৫০ কোটিরও বেশি। দর্শকের মন জয় করা গল্প বলার কৌশলই ছবিটিকে দিয়েছে অনন্য উচ্চতা।
ইতিমধ্যেই ঘোষণা এসেছে কান্তারা: চ্যাপ্টার ওয়ান এর, যা হবে মূল কাহিনির প্রিক্যুয়েল। ফলে ভক্তদের আগ্রহ নতুন মাত্রা পেয়েছে। এর মধ্যেই এক সাক্ষাৎকারে রিশভ শেট্টিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কান্তারার গল্প কি আরও বিস্তৃত হয়ে বহুবিশ্বে রূপ নিতে পারে? সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি ছবির জগতকে তুলনা করেন এক গভীর কূয়ার সঙ্গে। তাঁর মতে, এই কূয়ার ভেতরে লুকিয়ে আছে অগণিত অজানা স্তর, তবে দর্শকরা কিভাবে প্রিক্যুয়েলকে গ্রহণ করেন, সেটিই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা।
শেট্টির এই রহস্যময় ইঙ্গিত নতুন করে উসকে দিয়েছে ভক্তদের কৌতূহল। নানা সামাজিক মাধ্যমে চলছে ভক্তদের জল্পনা আর তত্ত্বকথা। তবে বহুবিশ্ব নির্মাণ করতে গেলে শুধু কল্পনা নয়, দরকার ধারাবাহিকতা, সৃজনশীলতা আর সতর্ক গল্প বলার দক্ষতা। এখনকার সিনেমা দুনিয়ায় সিক্যুয়েল আর সিনেমাটিক ইউনিভার্স যে জনপ্রিয় প্রবণতা, তা ঠিকই, কিন্তু মূল ছবির প্রাণ হারানো ছাড়া গল্পের বিস্তার করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
সবশেষে, কান্তারা: চ্যাপ্টার ওয়ান এর সাফল্যই হয়তো নির্ধারণ করবে রিশভ শেট্টি কান্তারাকে বহুবিশ্বে নিয়ে যাবেন কি না। দর্শকের প্রতিক্রিয়াই খুলে দিতে পারে এক নতুন সিনেমাটিক যাত্রার দুয়ার।
এমকে/টিএ