থাইল্যান্ডের প্রভাবশালী সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রা তার এক বছরের কারাদণ্ড কমানোর জন্য রাজার কাছে ক্ষমার আবেদন করেছেন বলে সোমবার তার আইনজীবী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
থাকসিন দেশটির অন্যতম বিতর্কিত রাজনীতিবিদ, দুই দশক ধরে রাজতন্ত্রপন্থী ও সেনা-সমর্থিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যিনি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আছেন। এই ধনকুবের টেলিকম ব্যবসায়ী বর্তমানে ব্যাঙ্ককের এক কারাগারে দণ্ড ভোগ করছেন।
চলতি মাসে থাইল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন, তিনি ২০২৩ সালের দণ্ড ভোগের সময় কারাগারের সেলে না থেকে হাসপাতালে বিশেষ কক্ষে অবস্থান করেছিলেন,যা বেআইনি।
তার আইনজীবী উইন্যাত চাটমন্ট্রি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজকীয় ক্ষমার আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে, তবে আমি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করব না। এটা প্রতিটি বন্দির অধিকার।’
তবে কবে আবেদন করা হয়েছে তা জানাননি তিনি।
থাকসিন ২০০১ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং ২০০৫ সালে পুনর্নির্বাচিত হন।
তবে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সেনা অভ্যুত্থানে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং তিনি স্বেচ্ছানির্বাসনে চলে যান।
২০২৩ সালের আগস্টে থাইল্যান্ডে ফেরার পর তাকে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে আট বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
তবে তিনি এক রাতও কারাগারের সেলে কাটাননি। তাকে দ্রুত হাসপাতালে ব্যক্তিগত কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর রাজার ক্ষমায় তার সাজা এক বছরে কমানো হয় এবং প্রবীণ বন্দিদের জন্য আগাম মুক্তির অংশ হিসেবে তিনি ছাড়া পান।
চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন, তার সাজা কার্যকর করার পদ্ধতি বেআইনি ছিল এবং তিনি কোনো গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছিলেন না।
একসময় গ্রামীণ জনগণের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় থাকসিনের রাজনৈতিক আন্দোলন ধারাবাহিক আইনি ও রাজনৈতিক ধাক্কায় এখন ভেঙে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তার মেয়ে পায়তোংতার্ন শিনাওয়াত্রা, যিনি গত আগস্টে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত হয়েছেন।
এমকে/এসএন