ভাঙচুরের মামলায় আদালত থেকে জামিন পেলেও কারাগার থেকে ছাড়া পাননি বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সিলেট জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর ও সদস্যসচিব প্রণব জ্যোতি পাল। আরো দুটি মামলা দায়েরের জন্য আদালতের জামিনের পরও তাদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। তবে আইনজীবীরা বলছেন এভাবে আটকে রাখা বেআইনি।
জানা গেছে, ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের পক্ষে আন্দোলনে ছিলেন বাসদের এই দুই নেতা।
গত শনিবার সিলেট নগরের আম্বরখানা এলাকার নিজ কার্যালয় থেকে আলোচনার কথা বলে বাসদ সিলেট জেলার আহ্বায়ক আবু জাফর ও সদস্যসচিব প্রণব জ্যোতি পালকে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে যানবাহন ভাঙচুরের দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। এই দুই নেতার খোঁজ নিতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় গেলে সেখানে আটক করা হয় সৈকত ও রনি নামে দুই অটোরিকশা শ্রমিককে। তাদেরও ওই দুটি পৃথক মাললায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এদিকে বাসদ নেতা নাজিকুল রানা দাবি করেছেন, ওই দুটি মামলার এজাহারে যে তারিখ, স্থান, কর্মসূচি এবং কর্মকাণ্ডের বিবরণ দেওয়া আছে সেই সে তারিখে ও স্থানে অন্য একটি সংগঠন কর্মসূচি পালন করেছে। এর সঙ্গে বাসদ নেতা জাফর ও প্রণব বা তাদের পরিচালিত সংগঠনের কোনো সংযোগ নেই। মামলায় উল্লেখিত ঘটনার দিন আবু জাফর ঢাকায় ‘বিলস’-এর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এমনকি বাদীপক্ষের দায়ের করা মামলায় আসামির তালিকায়ও তাদের নাম উল্লেখ ছিল না।
তারপরও তাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওই দুটি মামলায় আসামি করা হয়েছে।’
গ্রেপ্তারের পরদিন সোমবার সকালে সিলেট মহানগর হাকিম আদালত-১ এর বিচারক মো. শরিফুল হক তাদের দুজনের জামিন মঞ্জুর করেন। সোমবার সন্ধ্যায় তাদের জামিন আদালত কারাগারে পৌঁছালেও মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত তারা কারাগার থেকে ছাড়া পাননি।
আদালত জামিন মঞ্জুরের পরও কারাগার থেকে না ছাড়া বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আরিফুর রহমান বলেন, ‘নতুন মামলা এসেছে আমাদের কাছে। ওয়ারেন্ট চলে এসেছে আজ (মঙ্গলবার) ফাস্ট আওয়ারে।