ইসরাইলি নৌবাহিনী যেকোনো মুহূর্তে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ডজনখানেক নৌকাকে থামিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে চাওয়া এই মিশনের আয়োজকরা জানিয়েছেন, ইসরাইলি বাহিনীর অগ্রসনের কারণে ফ্লোটিলার জাহাজগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
সৌদিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া জানায়, ইসরাইলি সামরিক জাহাজগুলো ফ্লোটিলার কাছাকাছি চলে এসেছে এবং প্রায় ১০ মাইল দূরত্বে অবস্থান করছে। এতে করে পুরো পরিস্থিতি সংকটপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
এর আগে আয়োজকেরা অভিযোগ করেছেন, ইসরাইলি দুটি যুদ্ধজাহাজ হঠাৎ দ্রুতগতিতে এসে বহরের আলমা ও সিরিয়াস নামের দুই জাহাজকে ঘিরে ফেলে। এরপর জাহাজগুলোর সব ধরনের নেভিগেশন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে।
ফ্লোটিলায় থাকা আয়োজক থিয়াগো আভিলা এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনাকে ‘সাইবার হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং ইসরাইলি সামরিক বাহিনীকে এর জন্য দায়ী করেছেন।
এদিকে বহরের বৃহত্তম জাহাজ ‘কনসায়েন্স’-এ যোগ দেয়া বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, 'এই মাত্র সংবাদ আসল আলমার ওপর আক্রমণ হয়েছে। একটু পর ওখান থেকে সিগনালও থেমে গেল। এখন আমরা সবাই জড়ো হয়েছি, সবাই উদ্বিগ্ন। আলমা একদম শুরুর দিকে ছিল, আমরা শেষের দিকে। আলমার ওপর যা হচ্ছে, সেটা আমাদের ওপর হতে পারে।'
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, হামলার পর আন্তর্জাতিক ওই নৌবহরের কিছু যোগাযোগ ব্যবস্থা ধীরে ধীরে সচল হতে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামের এই বহরে রয়েছে প্রায় ৪৫টি বেসামরিক নৌকা ও জাহাজ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রায় ৫০০ নাগরিক এই মিশনে অংশ নিয়েছেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছেন সংসদ সদস্য, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী এবং সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনের কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।
ফ্লোটিলার আয়োজকেরা জানিয়েছেন, তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে গাজায় আটকে পড়া সাধারণ মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। তবে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এই ধরনের মিশনকে নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।
এমআর/টিএ