৪ ওভারে ৩৮ রান খরচায় সৈকত আলীর উইকেট নিয়েছিলেন নাসির হোসেন। বোলিংয়ে এক উইকেট নিলেও ব্যাটিংয়ে প্রত্যাশিতভাবে পারফর্ম করেছে তিনি। হাসান মুরাদের বলে আউট হওয়ার আগে ২ ছক্কা ও চারটি চারে ৩২ বলে খেলেছেন ৪৩ রানের ইনিংস। নাসিরের এমন ব্যাটিংয়ের সঙ্গে জাহিদ জাভেদের ৩৯, আকবর আলীর ১৪ বলে অপরাজিত ২৬ রানে ইনিংসে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে রংপুর বিভাগ।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দুই নম্বর গ্রাউন্ডে জয়ের জন্য ১৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ফেরেন অনিক সরকার। স্পিনার হাসান মুরাদের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৬ রানে। দ্রুতই প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন নাসির ও জাহিদ। তাদের দুজনের ব্যাটেই এগিয়ে যায় রংপুর। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৭৮ রান।
নাসির ও জাহিদের জমে ওঠা জুটি ভাঙেন হাসান মুরাদ। বাঁহাতি স্পিনারের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন নাসির। হাফ সেঞ্চুরির আশা জাগালেও ৪৩ রানের ইনিংস খেলে ফিরতে হয় তাকে। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি জাহিদেরও। দলের রান একশ হওয়ার আগে আউট হয়েছেন তিনিও। ৩২ বলে ৩৯ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলা জাহিদের উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান।
রংপুরের রান একশ ছুঁতেই আউট হয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুনও। ৮ বলে ৪ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। সুবিধা করতে পারেননি নাইম ইসলামও। পেসার মেহেদী হাসান রানার স্লোয়ার ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন তিনি। দ্রুত চার উইকেট হারালেও আকবর ও ইকবাল হোসেন মিলে রংপুরের ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন। অধিনায়ক আকবর ২৬ ও ইকবাল অপরাজিত ছিলেন ১৬ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। পরের ওভারে আউট হয়েছেন শাহাদাত হোসেন দিপুও। সুবিধা করতে পারেননি মুমিনুল হক, সৈকত আলীর কেউই। মাত্র ৪৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সাগরিকার দলটি। তবে সেখান থেকে জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন ইয়াসির আলী রাব্বি ও ইরফান শুক্কুর।
তারা দুজনে মিলে ৪৮ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। অধিনায়ক ইয়াসির ফেরেন ২২ রানে। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে চট্টগ্রামের রান বাড়িয়েছেন ইরফান। ৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া বাঁহাতি উইকেটকিপার ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ৪৬ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে। ইরফানের ব্যাটেই ১৩৮ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। রংপুরের হয়ে আব্দুল গাফফার সাকলাইন তিনটি ও মুশফিক হাসান নিয়েছেন দুইটি উইকেট।
এসএস/এসএন