অপপ্রচারের শিকার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ: চরমোনাই পীর

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা সত্ত্বেও একটি মহল প্রায়ই ইসলামী আন্দোলনকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘কল্যাণ রাষ্ট্র বিনির্মাণে নারী সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি।

মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘যারা মিথ্যাকে সত্য করতে চায়, তাদের থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ না করলেও তাদের (বিএনপি) অনেক নেতা মিথ্যাচার চালিয়েই যাচ্ছে। এ কথা এখন স্পষ্ট যে ওদের চরিত্রই হলো মিথ্যা বলা।’

স্বাধীনতার পর থেকে দেশকে শাসন করা সরকারগুলোর কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পরে যারা দেশ শাসন করেছে তারা বারবার দেশকে ‘চোরের দিক থেকে চ্যাম্পিয়ন’ করেছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘বেগমপাড়া’ তৈরি করেছে। দেশকে গুম ও খুনের রাজ্যে পরিণত করে বিশ্বের মাঝে একটি লজ্জাজনক অবস্থায় পৌঁছে দিয়েছিল।”

চরমোনাই পীর দাবি করেন, জনগণের প্রতিবাদের কারণেই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। আর এসব অনাচার ও দুর্নীতির মূল কারণ হলো আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানবরচিত কুফরি আইন বাস্তবায়ন করা।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশে ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নেয়ার জন্য নারী সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক মাওলানা এ বি এম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মুফতি মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় সেমিনারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মহিলা ইউনিট, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সকল থানা ও ওয়ার্ডের সহস্রাধিক নারী নেত্রী অংশ নেন।

সেমিনারে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ প্রমুখ।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মালিতে সেনা অভিযানে প্রাণ গেল ৩১ জনের Nov 20, 2025
img
দিল্লিতে দোভাল ও খলিলুরের বৈঠক; আলোচনার বিষয় কী? Nov 20, 2025
img
লামায় ট্রাক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল চালক Nov 20, 2025
img
মালদ্বীপের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য সিট বরাদ্দ Nov 20, 2025
img
তার সঙ্গে কাজ করে খুব ভালো লেগেছে : বিজয় বর্মা Nov 20, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান ৫ম Nov 20, 2025
img
মিলিতাওকে ঘিরে দুঃসংবাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ Nov 20, 2025
img
মামদানির সঙ্গে সাক্ষাতের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প Nov 20, 2025
img
কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের কাতারে মুশফিক Nov 20, 2025
img
চাকরি থেকে বরখাস্ত তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট Nov 20, 2025
img
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল Nov 20, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনে ইসির শক্ত ভূমিকা চায় রাজনৈতিক দলগুলো Nov 20, 2025
img
পাঁচটি জরুরি বিষয় অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করতে চায় বিএনপি : তারেক রহমান Nov 20, 2025
img
১১৭ বছরের দলিল অনলাইনে, যেকোনো স্থান থেকে সহজে দেখুন আপনার দলিল Nov 20, 2025
img
আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরবেন তারেক রহমান: আমিনুল Nov 20, 2025
img
আমার বয়স বেশি না, তবুও এমন কেন হয়? : সাদিয়া আয়মান Nov 20, 2025
img
ট্রানজিশনাল পিরিয়ডে আছি আমরা : মির্জা ফখরুল Nov 20, 2025
img
আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ Nov 20, 2025
img

সালাহ-ওসিমেনকে হারিয়ে

৫২ বছরে প্রথমবার এমন কীর্তি গড়লেন হাকিমি Nov 20, 2025
img
শাহরুখের সেই ‘ভাই’ এখন কোথায়, কেন অভিনয়ে নেই? Nov 20, 2025