কুয়েতে প্রবাসী বাংলোদেশিদের জন্য একটি হাসপাতাল স্থাপনের সম্ভাব্যতা নিয়ে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (০২ অক্টোবর) কুয়েতের সালমিয়া শহরের মিক্স ইয়াকি রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল কুয়েত (বিবিসি) এ সভার আয়োজন করে। এতে কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের অর্থায়নে ও বাংলাদেশ শমরিতা হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে হাসপাতাল স্থাপনের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল কুয়েতের সভাপতি লুতফুর রহমান মুখাই আলী সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে সাধারণ সম্পাদক মো. ইমদাদুল ইসলাম পরিচালনায় প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নেতা, প্রকৌশলী, ডাক্তার এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বিবিসি কুয়েতের সহসভাপতি মো. আকবর হোসেন তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, ‘একতাই বল, যদি স্বদিচ্ছা থাকে; তাহলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। কর্ম করতে হবে, তবেই তার ফল পাবেন।’ তিনি সভা শুরুর আগে আলোচকদের বক্তব্যের একটি রূপরেখা তুলে ধরেন।
সভাপতি লুতফুর রহমান মুখাই আলী তার বক্তব্যে বলেন, ‘একাই অনেক কিছু করা সম্ভব, তবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কিছু করতে পারলে সেটির গুরুত্ব অপরিসীম।’ তিনি কুয়েতে বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় সবাইকে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
সাধারণ সম্পাদক মো. ইমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্যোগ নেবে দুই-একজন, কিন্তু এতে অন্তত সবার সমর্থনও যদি থাকে; সেক্ষেত্রেও আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ হবে।’ তিনি উপস্থিত সবাইকে মৌখিক মতামতের পাশাপাশি লিখিতভাবে নিজেদের সমর্থন ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় অংশগ্রহণের বিষয়টি লিপিবদ্ধ করার অনুরোধ করেন।
জানা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে বর্তমানে সব মিলিয়ে তিন লাখের বেশি প্রবাসী বিভিন্ন পেশায় কর্মরত আছেন।
উল্লেখ্য, গত মাসে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খানের নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল কুয়েত সফর করেছিল। সেই প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন বাংলাদেশ শমরিতা হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) ডা. এ বি এম হারুন।
কুয়েত প্রবাসীরা তার কাছেই কুয়েতে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সহযোগিতার কামনা করেছিলেন। এ প্রেক্ষাপটেই আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হলো, যা প্রবাসীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার একটি বড় পদক্ষেপ।
আইকে/টিএ