দেশের অধিকাংশ নদ-নদীর পানি এখন বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও উজানে ভারি বৃষ্টির কারণে উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার এবং বিপদসীমা অতিক্রম করার পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)।
শনিবারের (৫ অক্টোবর) পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে রংপুর বিভাগ এবং উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী এক দিনে (৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে ৬ অক্টোবর সকাল ৯টা পর্যন্ত) দেশের রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে এবং সংলগ্ন উজানে ভারতের প্রদেশগুলোতে বিচ্ছিন্নভাবে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী দুই দিন তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানির উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আগামী দুই দিন সোমেশ্বরী, ভুগাই-কংস নদীর পানি বাড়বে। এ সময়ে নদীগুলো শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা জেলায় সতর্কসীমা দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং এর সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
করতোয়া, যমুনেশ্বরি, পুনর্ভবা, টাঙ্গন, আত্রাই, আপার-আত্রাই, মহানন্দা এবং ঘাঘট নদীর পানির স্তর আগামী দুই দিন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকার পানির স্তর আগামী দুই দিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এর পরের তিন দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। পদ্মা নদীর পানির স্তর আগামী এক দিন স্থিতিশীল থাকার পর পরবর্তী চার দিন বৃদ্ধি পেতে পারে।
সুরমা-কুশিয়ারা অববাহিকার পানির স্তর আগামী এক দিন স্থিতিশীল থাকবে এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।
টিজে/টিকে