বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বহুল আলোচিত-সমালোচিত পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন আগামীকাল (সোমবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে নাটকীয়তার চূড়ান্ত বিন্দুর দেখা মিলছে না শেষ মুহূর্তেও। গতকাল (শনিবার) পুনরায় তফসিল গঠন ও নির্বাচন পেছানোসহ তিন দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছিল ৪৮টি ক্লাবের সংগঠকরা। একই দাবিতে তারা এবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছে।
আজ রোববার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা ক্রিকেট ক্লাব সংগঠকদের পক্ষে বিসিবির কাউন্সিলর মো. রফিকুল ইসলাম বাবু স্বাক্ষরিত ওই চিঠি পাঠানো হয়।
যেখানে চলমান সংকট কাটাতে তিনটি পরামর্শ হিসেবে নিজেদের দাবি তুলে ধরেন সংগঠকরা। তাদের দাবি– বিসিবি’র বর্তমান নির্বাহী পর্ষদের সময় বাড়িয়ে নির্বাচনের পুনঃতফসিলসহ কাউন্সিলরশিপ বিতর্ক এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া, বিকল্প হিসেবে অ্যাডহক কমিটির কাছে দায়িত্ব দেওয়া ও পুনঃনির্ধারিত সময়ে নতুন নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ভোটগ্রহণ করা।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে সংগঠকরা জানিয়েছেন, কাউন্সিলরশিপের ব্যাপারে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কেউ কেউ হস্তক্ষেপ করে পুরো বিষয়টিকে বিতর্কিত করেছে। ১৫টি ক্রিকেট ক্লাবকে প্রথমে অনুমতি প্রদানের পরও, বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চারদিক ঘিরে থাকা স্বার্থান্বেষীদের চাওয়াতেই নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগেরদিন তাদের আবেদন বাতিল করে। এর আগে বিষয়গুলোর সুষ্ঠু সমাধান ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে ক্লাব সংগঠক ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কয়েক দফা বৈঠক হলেও ফলপ্রসূ হয়নি। তাই ক্লাব সংগঠকরা নির্বাচনে হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘সবচেয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিকে বিসিবি’র নির্বাহী পর্ষদে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া চেষ্টা চলছে। যা গঠনতন্ত্র ৯ ও ১০ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় অবদান ঢাকার প্রিমিয়ার, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ক্লাবগুলোর। ক্লাব সংগঠকরা টুর্নামেন্টগুলো চালাতে বাৎসরিক অন্তত শত কোটি টাকা খরচ করে থাকে। বিনিময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের ক্রিকেটে অবদান রাখতে চান তারা। সে রাস্তাটাই এবার রুদ্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ঢাকার ক্লাবগুলো উপায় না দেখে আসন্ন টুর্নামেন্টগুলো থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছে সক্রিয়ভাবে।’
টিজে/টিকে