স্পেনে ফিরে এসে ভয়াবহ এবং তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানালেন গাজামুখী ত্রাণবাহী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক অভিযাত্রীদের একাংশ। রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে স্পেনে ফিরে এসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন স্প্যানিশ অভিযাত্রীরা।
স্প্যানিশ আইনজীবী রাফায়েল বোরেগো মাদ্রিদের বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন,‘আমাদের মারধর করা হয়েছে, মাটিতে টেনে হিঁচড়ে নেয়া হয়েছে, চোখ বেঁধে হাত-পা বেঁধে খাঁচায় আটকে রাখা হয়েছে এবং গালাগাল করা হয়েছে।’ ফ্লোটিলায় থাকা বার্সেলোনার সাবেক মেয়র আডা কলাউ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু ফিলিস্তিনি জনগণ প্রতিদিন যে যন্ত্রণা সহ্য করে তার তুলনায় কিছুই নয়।’ খবর সিএনএনের।
এদিকে, সাংবাদিক কার্লোস দে বাররন ও নেস্টর প্রিয়েতো জানিয়েছেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জোর করে তাদের নামে এমন একটি নথিতে সই করেছে যাতে লেখা ছিল তারা অবৈধভাবে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছিলেন।
প্রিয়েতো বলেন,’তারা আমাদের সামনে হিব্রু ভাষায় লেখা কাগজ রাখে, কিন্তু অনুবাদকের সহায়তা নিতে দেয়নি। এমনকি কনসুলার সহায়তাও পাইনি, কারণ তারা স্প্যানিশ কনসুলকে আশদোদ বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।’
ইসরায়েলি বাহিনী গত সপ্তাহে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা সুমুদ ফ্লোটিলার ৪২টি ছোট-বড় নৌযান আটক করে। প্রতীকী পরিমাণ মানবিক ত্রাণবাহী এই নৌবহরটি গাজায় ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের নৌ অবরোধ ভাঙার সর্বশেষ প্রচেষ্টা ছিল।
এর আগে চলতি বছরের জুন ও জুলাই মাসে একই ধরনের ফ্লোটিলা আটক করা হয়েছিল, যখন অবরুদ্ধ গাজায় তীব্র ক্ষুধা সংকট নিয়ে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ বাড়ছিল। অন্যদিকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী বরাবরই সুমুদ ফ্লোটিলা ও অন্যান্য মিশনকে 'হামাসপন্থি নাটক' বলে অভিহিত করে।
ইএ/টিকে