গ্রেটা থুনবার্গকে ঝামেলাবাজ বললেন ট্রাম্প!

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেছেন। গাজামুখী ত্রাণ বহরের সঙ্গে যাত্রা, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার এবং পরবর্তীকালে বিতাড়িত হওয়ার ঘটনায় তিনি থুনবার্গকে 'ঝামেলাবাজ' বলে অভিহিত করেছেন।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

শুক্রবার সমুদ্রপথে গাজার অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করলে থুনবার্গসহ চার শতাধিক কর্মীকে ইসরায়েলি নৌবাহিনী জোরপূর্বক আটক করে। এরপর ১৩০ জনকে রোববার তুরস্কে এবং থুনবার্গকে সোমবার গ্রিস হয়ে স্লোভাকিয়ায় পাঠানো হয়।

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, 'সে (থুনবার্গ) ঝামেলাবাজ। এখন আর পরিবেশ নিয়ে নেই, এখন অন্য কিছুর মধ্যে ঢুকে পড়েছে। ওর ডাক্তার দেখানো দরকার। ওর রাগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা আছে।'

উল্লেখ্য, ট্রাম্প ও থুনবার্গের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব নতুন নয়; ২০১৯ সালে টাইমস ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব হওয়ার পরেও ট্রাম্প থুনবার্গের রাগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যার কথা তুলেছিলেন। জবাবে থুনবার্গ একসময় নিজের এক্স অ্যাকাউন্টের বায়োতে লিখেছিলেন, 'এক কিশোরী, রাগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করছি।'

এদিকে, শনিবার থুনবার্গের সহকর্মী ও আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, থুনবার্গসহ আটক ব্যক্তিদের ইসরায়েলি কারাগারে 'নির্যাতন' ও 'অমানবিক আচরণের' শিকার হতে হয়েছে। ইসরায়েল অবশ্য এই অভিযোগ নাকচ করেছে, কিন্তু ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির বলেন, তিনি নাকি বন্দীদের কঠোর অবস্থার মধ্যে রাখা নিয়ে 'গর্বিত'।

সোমবার মুক্তি পাওয়ার পর থুনবার্গ প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি কারাগারে তাকে মারধর করা হয়েছে এবং জোর করে ইসরায়েলের পতাকায় চুমু খাওয়ানো হয়েছে। তবে তিনি বলেন, 'আমাদের আটক ও নির্যাতন নিয়ে অনেক কিছু বলা যায়। কিন্তু সেটাই আসল গল্প নয়। আসল বিষয় হলো, আমাদের চোখের সামনে গণহত্যা চলছে। সরাসরি সম্প্রচারিত গণহত্যা।'

থুনবার্গ দৃঢ়ভাবে বলেন, 'কেউ যেন বলতে না পারে আমরা জানতাম না। ভবিষ্যতে কেউ বলতে পারবে না আমরা দেখিনি। ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে পুরো জনগোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছে।' তিনি আরও যোগ করেন, 'আমাদের চোখ সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই। গাজা, কঙ্গো, সুদান, আফগানিস্তানসহ পৃথিবীর বহু জায়গায় মানুষ দুঃসহ পরিস্থিতিতে আছে। আমরা যা করছি, সেটাই ন্যূনতম। মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে, তা কল্পনা করা যায় না। অবরুদ্ধ কোটি মানুষের খাবার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, চলমান দখল ও বর্ণবাদের ধারাবাহিকতায়।'

টিজে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ জন Oct 07, 2025
img
নতুন ছবি করতে যাচ্ছি : মিষ্টি জান্নাত Oct 07, 2025
img
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক এমপি সামছুল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা Oct 07, 2025
img
রাষ্ট্রকে সঠিক ট্র্যাকে তুলতে ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধন : চিফ প্রসিকিউটর Oct 07, 2025
img
জাহ্নবীর প্রেমের কাহিনী : গুঞ্জন নাকি সত্য? Oct 07, 2025
img
ফের ইসির কাছে শাপলা প্রতীক চেয়েছে এনসিপি Oct 07, 2025
img
ক্রীড়া উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বিসিবি নির্বাচন: আমিনুল Oct 07, 2025
img
দীপিকার হিজাব ও রণবীরের দাড়ি, নতুন রূপে তারকা দম্পতি Oct 07, 2025
img
ঘর পরিচালনা করা সহজ নয়: অমিতাভ বচ্চন Oct 07, 2025
img
শহীদ আবরার ফাহাদ আমাদের প্রেরণার বাতিঘর : সাদিক কায়েম Oct 07, 2025
img
অবসর ঘোষণার পরই আবার কনসার্টে তাহসান Oct 07, 2025
img
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে ইংল্যান্ড Oct 07, 2025
img
সৌদি আরবকে আরও বিনিয়োগে উৎসাহিত করল বাংলাদেশ Oct 07, 2025
img
উদয়ন এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় রেলওয়ের ২ কর্মকর্তা বরখাস্ত Oct 07, 2025
img
লোম বাছতে গিয়ে কম্বল উজাড় নয়: সিইসি Oct 07, 2025
ভারত যদি স্বৈরাচারকে আশ্রয় দেয়, আমাদের কিছু করার নেই — তারেক রহমান Oct 07, 2025
img
তারেক রহমান বাংলাদেশের ডি-ফ্যাক্টো লিডার: ডা. জাহেদ উর রহমান Oct 07, 2025
img
ইসফাকের জায়গায় বিসিবির পরিচালক হলেন রুবাবা দৌলা Oct 07, 2025
img
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছোট বোন আর নেই Oct 07, 2025
img
মুক্তিযুদ্ধকে যারা অস্বীকার করে তাদের নির্বাচন করার অধিকার নেই: বুলু Oct 07, 2025