ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য হিমাচলে ভূমিধসের কবলে পড়েছে একটি যাত্রীবাহী বাস। এতে কমপক্ষে ১৮ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হিমাচলের পাঠানকোট-মান্ডি সড়কের ভালুঘাট এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। পুলিশসূত্রে জানা গেছে, বাসটি হরিয়ানা রাজ্যের রোহতাক জেলা থেকে বিলাসপুরের ঘুমারিন শহরের দিকে যাচ্ছিল। সে সময় ব্যাপক খুব বৃষ্টিপাত হচ্ছিল ওই এলাকায়। ভালুঘাটে আসার পর একটি পাহাড়ের প্রায় সম্পূর্ণ চূড়া বাসটির ওপর ধসে পড়ে।
বাসটিতে মোট ৩০ থেকে ৩৫ জন যাত্রী ছিলেন। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ ও দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা উদ্ধার কাজ শরু করেন।
স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে বলেন, “গতকাল রাত থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৮ জন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া তিন জন শিশুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় উদ্ধার তৎপরতায় গতি আনা যাচ্ছে না।”
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, “ধসের মাত্রা অনেক বড়। এখনও আটকে থাকা যাত্রীদের জীবিত থাকার আশা ক্ষীণ।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে ২ লাখ রুপি এবং আহতের পরিবারকে ৫০ হাজার রুপি প্রদান করা হবে।
হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দার সিং সুখু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় জানিয়েছেন, “ধসের মাত্রা বিশাল, আবহাওয়াও বৈরী। তবে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক এক্সবার্তায় নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে বলেছেন, উদ্ধারকাজে সহায়তা করতে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন উদ্ধারকারী বাহিনী ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের কয়েকটি টিম ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও এ ঘটনায় গভীর শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
সূত্র : এনডিটিভি
পিএ/টিকে