মন্টানার রকি পর্বতমালায় ক্যাম্পিং ও হাইকিং করছিলেন মার্কিন বিজ্ঞানী ফ্রেড র্যামসডেল। হঠাৎ স্ত্রীর চিৎকার শুনে ভেবেছিলেন, কোনো বিপদ হয়তো ভালুক এসেছে! কিন্তু পরে বুঝতে পারেন, তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন। খুশিতে চিৎকার করে উঠেছিলেন তার স্ত্রী লরা ও’নিল।
গত ৬ অক্টোবর (সোমবার) চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে সুইডিশ নোবেল কমিটি। এ বছর তিনজন বিজ্ঞানী পুরস্কার পেয়েছেন, তাদের একজন র্যামসডেল।
তিনি জানান, ফোন ‘এয়ারপ্লেন মোডে’ থাকায় নোবেল কমিটির রাত ২টার ফোনকল মিস করেন। পরে স্ত্রীর ফোনে আসা অসংখ্য মেসেজ দেখে বিষয়টি জানতে পারেন। ‘তুমি নোবেল জিতেছ!’ এই বলে আনন্দে চিৎকার করেন লরা। প্রথমে বিশ্বাস করতে না পারলেও পরে নিশ্চিত হন র্যামসডেল।
৬৪ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী ও তার সহকর্মীরা রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা নিয়ে গবেষণার জন্য এই স্বীকৃতি পেয়েছেন। তাদের কাজ অটোইমিউন রোগ, যেমন আর্থ্রাইটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস ও ক্রোনস রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
হাইকিং ট্রিপে থাকায় র্যামসডেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নোবেল কমিটির ২০ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। সাধারণ সম্পাদক থমাস পারেলম্যান জানান, ২০১৬ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনো বিজয়ীর সঙ্গে যোগাযোগে এত দেরি হয়নি আগে কখনো।
নোবেল পাওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে র্যামসডেল বলেন, “আমি কৃতজ্ঞ ও বিনীত। এই সম্মান পেয়ে আনন্দিত এবং সহকর্মীদের সঙ্গে এই মুহূর্তটি ভাগ করে নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।”
সূত্র: ইউএনএন
এমকে/টিকে