সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়লেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা ওমর সানী। মেজাজ হারিয়ে কিছু কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বলে গালি দেন তিনি।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছেন ওমর সানী ও তার স্ত্রী-চিত্রনায়িকা মৌসুমী। এআই ব্যবহার করে তাদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয় ভিডিওতে।
ব্যক্তিগত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়েন ওমর সানী। তিনি জানান, কিছু মানুষ গোপনে তাদের ছবি তুলে তাতে এআই ব্যবহার করে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছেন।
প্রযুক্তির অন্ধকার ভয়াবহতার শিকার হয়ে বুধবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে একটি স্ট্যাটাস দেন ওমর সানী। একটি ভিডিও আপলোড করেন।
২ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে ওমর সানী ক্ষোভ ঝাড়েন নেতিবাচকভাবে প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের ওপর।ভিডিওতে ওমর সানী বলেন, কী দেখছেন, এটা এআই না। এআই দিয়ে মার্ভেলাসতো অনেক কিছুই করেছে। তবে কিছু ফকিন্নির বাচ্চা এআই ব্যবহার করে আমাকে আর মৌসুমীকে বিক্রি করছে। আর তিলকে তাল বানাচ্ছে।
ওমর সানী আরও বলেন, আমার মনে হয়, ফকিন্নির বাচ্চারা অনেক অভাবের মধ্যে আছে। শুক্রবার দিন আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে আমি অহঙ্গবাদে থাকবো। আপনাদের কিছু লাগলে আসবেন। আতিথেয়তা করে দেবো।
সবশেষে অভিনেতা ক্ষোভ জেড়ে বলেন, এআই কী জিনিস, ভাইরাল কী জিনিস বুঝিয়ে দেবো। তোরা তো কুত্তা-বিল্লাইয়ের মতো ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা করোস। গোপনে কিছু নেস। ওইটাতে এআই মারোস। দোয়া করি, আমাদের বিক্রি করে যদি তোদের লাভ হয়, ভালো থাকিস। মানিকগঞ্জের মহাতারকা খান আতাউর রহমান একটি ছবি বানিয়েছিলেন ‘আবার তোরা মানুষ হো’। সেটাই দোয়া করি তোমাদের জন্য।
প্রসঙ্গত, ঢালিউডের জনপ্রিয় তারকা জুটি ওমর সানী ও মৌসুমী। ১৯৯৬ সালের ২ আগস্ট তারা ভালোবেসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দাম্পত্য জীবনে ফারদিন এহসান স্বাধীন নামের এক ছেলে ও ফাইজা নামের এক মেয়ে রয়েছে।
কেএন/টিকে