আফ্রিকার দেশ লিবিয়াতে বর্তমানে ২০ হাজার ৩৯২ জন বাংলাদেশি অবস্থান করছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা রিলিফওয়েবের সর্বশেষ জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। নির্দিষ্ট সময় পর পর ডিসপ্লেসমেন্ট ট্রেকিং মেট্রিক্স (ডিটিএম) নামে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের অবস্থান, সংখ্যাসহ নানা ধরনের তথ্য প্রকাশ করা হয়। লিবিয়াতে অভিবাসীদের নিয়ে মঙ্গলবার রিলিফওয়েবের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে এই মুহূর্তে বিশ্বের ৪৫টি দেশের মোট আট লাখ ৯৪ হাজার ৮৯০ জন অভিবাসী অবস্থান করছেন। চলতি বছরের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে লিবিয়ার ১০০টি পৌরসভায় এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।
রিলিফওয়েবের তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়াতে বর্তমানে অবস্থানরত মোট অভিবাসীদের দুই শতাংশই বাংলাদেশি। সেই হিসেবে দেশটিতে এই মুহূর্তে মোট ২০ হাজার ৩৯২ জন বাংলাদেশি অবস্থান করছেন।
তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন আফ্রিকার দেশ সুদানের নাগরিকরা। দেশটির মোট তিন লাখ ৮৯ হাজার ৮১১ জন লিবিয়াতে অবস্থান করছেন। এই সংখ্যা লিবিয়াতে অবস্থানরত মোট অভিবাসীর শতকরা ৩৫ ভাগ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার আরেক দেশ নিগারের নাগরিকরা। নিগারের মোট এক রাখ ৮৯ হাজার ১৩২ জন লিবিয়াতে অবস্থান করছেন।
তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মিসর। দেশটির মোট এক লাখ ৬৮ হাজার ৯৪০ জন নাগরিক লিবিয়াতে অবস্থান করছেন।
অভিবাসীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কোন কোন পথে যাত্রা করে লিবিয়া পোঁছে থাকে তার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। তালিকায় বাংলাদেশিদের লিবিয়া পৌঁছানোর যাত্রাপথটিও উঠে এসেছে। মূলত জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে যাত্রা পথের চিত্র তুলে ধরেছে সংস্থাটি।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ প্রায় ৪৬ ভাগ বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক হয়ে লিবিয়াতে প্রবেশ করেছেন। এই পথে তাদের খরচ হয় প্রায় চার হাজার ২৭৭ মার্কিন ডলার। এছাড়া ১৪ শতাংশ অভিবাসী বাংলাদেশ থেকে প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং পরে সেখান থেকে তুরস্ক হয়ে লিবিয়া প্রবেশ করেন। এই পথে তাদের খরচ হয় প্রায় তিন হাজার ২২৮ ডলার।
এদিকে ১৩ শতাংশ বাংলাদেশ থেকে প্রথমে আরব আমিরাত তারপর সেখান থেকে মিসর হয়ে লিবিয়াতে প্রবেশ করে থাকেন। এই পথে তাদের খরচ হয় প্রায় তিন হাজার ৪৯৫ ডলার। আর ২৭ শতাংশ বাংলাদেশি অন্যান্য পথে লিবিয়াতে প্রবেশ করেন।
এসব পথের মধ্যে রয়েছে মিসর, জর্ডান, কাতার, ভারত, সৌদি আরবসহ আরও কয়েকটি দেশ। অর্থাৎ তারা এর একটি বা কয়েকটি দেশ ব্যবহার করে লিবিয়াতে প্রবেশ করেন। এই পথে তাদের খরচ হয় এক হাজার ৬৬২ ডলার। ইনফোমাইগ্রেন্টস।
এবি/টিকে