২০২৭ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় ৪০ হাজার কোটি ইউরো বিনিয়োগের পরিকল্পনা ইইউর

‘গ্লোবাল গেটওয়ে কর্মসূচি’র আওতায় ২০২৭ সালের মধ্যে ৪০০ বিলিয়ন বা ৪০ হাজার কোটি ইউরোরও বেশি বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন। এই প্রকল্পকে অনেক বিশ্লেষক চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’র বিকল্প উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এক বক্তব্যে তিনি বলেন, এই বিনিয়োগের মাধ্যমে ইইউ গ্লোবাল সাউথ বা উন্নয়নশীল বিশ্বের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে চায়।

ভন ডার লেইন জানান, গ্লোবাল গেটওয়ে মূলত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির একটি উদ্যোগ। এর লক্ষ্য হলো- উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবকাঠামো, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা ও গবেষণা খাতে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব গড়ে তোলা।

প্রাথমিকভাবে ২০২১ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময়ের জন্য ৩০০ বিলিয়ন বা ৩০ হাজার কোটি ইউরো বিনিয়োগের পরিকল্পনা ছিল, যার অর্ধেকই আফ্রিকা মহাদেশে ব্যয় করার কথা ছিল। তবে সাম্প্রতিক ঘোষণা অনুযায়ী, সেই লক্ষ্য বাড়িয়ে ৪০০ বিলিয়ন ৪০ হাজার কোটি ইউরোরও বেশি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ।

ভন ডার লেইন বলেন, এই কর্মসূচি শুধু উন্নয়ন সহায়তার প্রকল্প নয়, বরং এটি একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব, যা আমাদেরকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শিক্ষা ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের সরবরাহ চেইনে টেকসই বিকল্প গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

তিনি আরও জানান, ইইউ এখন ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ইনভেস্টমেন্ট হাব’ নামে একটি নতুন কেন্দ্র চালু করছে। এটি হবে একক বিনিয়োগ-প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিশ্বজুড়ে কোম্পানিগুলো তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাব জমা দিতে পারবে।

গ্লোবাল গেটওয়ে প্রকল্পকে অনেক বিশ্লেষক চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’র বিকল্প উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন। ইউরোপীয় কমিশন বলছে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা একদিকে বৈশ্বিক দক্ষিণে উন্নয়ন সহায়তা জোরদার করবে, অন্যদিকে ইউরোপের সবুজ রূপান্তর প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় খনিজ সম্পদের জন্য চীনের ওপর নির্ভরতা কমাবে।

টিজে/টিকে    

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পর্যবেক্ষকদের চোখ দিয়েই নির্বাচন দেখতে চাই : সিইসি Nov 25, 2025
img
হানিফসহ চার জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু ৮ ডিসেম্বর Nov 25, 2025
img

সিইসি

আমাদের এজেন্ডা একটাই, একটি ক্রেডিবল ইলেকশন জাতিকে উপহার দেওয়া Nov 25, 2025
img
বাউল আবুল সরকারের কঠোর শাস্তি চাইলেন রাশেদ খাঁন Nov 25, 2025
img
এক অদ্ভুত শূন্যতা, চারপাশের বাতাস যেন কমে গেছে: অমিতাভ Nov 25, 2025
img
সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে মাস্টার প্ল্যান, মতামত পাঠানোর আহ্বান Nov 25, 2025
img
নির্বাচনকে রক্ষা করা যাবে কি- প্রশ্ন সারোয়ার তুষারের Nov 25, 2025
img
বাউল শিল্পীদের ওপর হামলা মামলায় গ্রেপ্তার নেই Nov 25, 2025
বিএনপির প্রার্থী তালিকায় আসছে বড় রদবদল Nov 25, 2025
img
বড়দিনে ফের মুখোমুখি দেব-শুভশ্রী Nov 25, 2025
img
ভালো নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতা লাগবে : সিইসি Nov 25, 2025
img
হাসিনা-টিউলিপের দুর্নীতি মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা হতে পারে আজ Nov 25, 2025
img
সিলেট নগরীর ২৩ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণের সিদ্ধান্ত Nov 25, 2025
img

ইউক্রেন যুদ্ধ

মার্কিন শান্তি পরিকল্পনা ২৮ থেকে নেমে এলো ১৯ দফায় Nov 25, 2025
যে জায়গায় দোয়া কবুল হয় | ইসলামিক জ্ঞান Nov 25, 2025
img
নিজের খাবার নিয়ে বিপাকে রণবীর কাপুর Nov 25, 2025
img
তৌহিদী জনতার ওপর সরকারের প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে : রুমিন ফারহানা Nov 25, 2025
img
বার খোলার অনুমতি দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ, বিক্রি হবে অ্যালকোহলমুক্ত বিয়ার Nov 25, 2025
img
দেশজুড়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের ৩ দিনের কর্মবিরতি শুরু Nov 25, 2025
img
নাটোরে প্রশাসনের আশ্বাসে নেসকো অফিস ঘেরাও কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত Nov 25, 2025