চীন ঘোষণা করেছে, মঙ্গলবার থেকে তারা চীনা জাহাজগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বন্দর মাশুল আরোপের প্রতিশোধ হিসেবে, চীনা বন্দরে নোঙর করার জন্য মার্কিন জাহাজগুলোর ওপর মাশুল নিতে শুরু করবে।
শুক্রবার চীনা পরিবহন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এই বছরের এপ্রিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত মাশুল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নীতি এবং চীন-মার্কিন সামুদ্রিক শিপিং চুক্তিকে "মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন" করছে এবং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামুদ্রিক বাণিজ্যের "গুরুতর ক্ষতি" করছে।
যুক্তরাষ্ট্র চীনা জাহাজগুলোর উপর প্রতি নিট টনে ৫০ ডলার মাশুল নিচ্ছে। এর জবাবে চীন মার্কিন জাহাজগুলোর ওপর প্রতি নিট টনে ৪০০ ইউয়ান (৫৬ ডলার) মাশুল ধার্য করবে এবং আগামী বছরগুলোতে এই খরচ আরও বাড়বে বলে জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, এই মাশুলগুলো সেইসব কোম্পানি, সংস্থা, ব্যক্তি এবং সত্তার মালিকানাধীন বা পরিচালিত জাহাজগুলোর উপর প্রয়োগ করা হবে, যেখানে মার্কিন অংশীদারদের কমপক্ষে ২৫ শতাংশ মালিকানা রয়েছে।
অতিরিক্তভাবে, ওয়াশিংটনে তৈরি বা আমেরিকান পতাকা বহনকারী জাহাজগুলোও এই মাশুলের আওতায় পড়বে।
এপ্রিল মাসে বাইডেন-ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে পরিচালিত মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির পর্যালোচনার পর মার্কিন সরকার চীন থেকে নির্মিত জাহাজগুলোর ওপর মাশুল ঘোষণা করে। ওই পর্যালোচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, চীনের কার্যকলাপ, নীতি এবং অভ্যাসগুলো অযৌক্তিক এবং এটি মার্কিন বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত বা ভারাক্রান্ত করছে।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) অনুসারে, বিশ্বের জাহাজ নির্মাণের ৫৩.৩ শতাংশ চীন করে থাকে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব প্রায় ০.১ শতাংশ।
এই পদক্ষেপটি বেইজিং কর্তৃক চলতি সপ্তাহের শুরুতে রেয়ার আর্থ এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধির ঘোষণার পর আসলো। ইলেক্ট্রনিক্স, স্বয়ংচালিত এবং সামরিক খাত সহ উচ্চ-প্রযুক্তি শিল্পগুলোর জন্য রেয়ার আর্থ উপাদান অত্যন্ত অপরিহার্য।
সূত্র: আনাদলু
আইকে/টিকে