ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন, আপনারা একটি নতুন যাত্রা শুরু করেছেন রাষ্ট্রের সেবায়, জনগণের কল্যাণে, দায়িত্ব ও কর্তব্যের পথে। এ পথ সহজ নয়, কিন্তু সম্মানজনক ও গৌরবময়। প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তা হিসেবে আপনাদের প্রধান দায়িত্ব হবে দক্ষতা, নৈতিকতা, সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা।
জনগণের সেবা মূল লক্ষ্য। আপনারা দেশের ভবিষ্যৎ প্রশাসনের চালিকা শক্তি। জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সততা ও নৈতিকতা ধারণ করতে হবে। সবার আগে দেশপ্রেম, এটা প্রতিটি ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে।
রোববার (১২ অক্টোবর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৭৮তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণে তিনি এ কথা বলেন। ২২ জন কর্মকর্তা এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, জনগণের প্রতি জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও ন্যায়পরায়ণতা হতে হবে আপনাদের কর্মপথের মূল দিকনির্দেশনা। এই সময়ে সরকার প্রশাসনে ডিজিটালাইজেশন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করছে। আপনাদের প্রতি প্রত্যাশা থাকবে পরিবর্তনকে বরণ করা, নতুন প্রযুক্তি ও নিয়মকানুনে দক্ষতা অর্জন করা এবং কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখা। কাজের ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। সততা ও নৈতিকতা বজায় রেখে কাজ করতে হবে। মূল্যবোধ এমন হওয়া উচিত যাতে অন্যরা অনুসরণ করে। যেকেউ যে ক্যাডারেরই হোক দক্ষতা অর্জন করতে না পারলে বেশি দূরে যাওয়া যাবে না; পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এটা নিজেকে দায়িত্বশীল ও উদ্যোগী হতে হবে এবং পড়াশোনা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দায়িত্ব পালন শুধু অফিস সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এটি একটি নৈতিক প্রতিশ্রুতি। জনগণের সমস্যাকে নিজের সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করুন, তাদের অধিকার রক্ষায় সৎ ও দৃঢ় থাকুন। সততা, দক্ষতা ও মানবিকতা দিয়ে এই যাত্রাকে সফল করুন। তবেই গড়ে উঠবে একটি জবাবদিহিমূলক, স্বচ্ছ ও উন্নত বাংলাদেশ। চাকরিতে দুই শ্রেণির বদনাম হয় একটি হলো ভালো সৎ কর্মকর্তা আর একটি অসৎ কর্মকর্তা। শেষ পর্যন্ত সৎ কর্মকর্তাই জয়ী হন, মর্যাদাবান হন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শরিফুল ইসলাম, সায়মা ইউনুস ও মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।
টিজে/এসএন