ঢাকা মেট্রোরেলের চলাচলের সময় বাড়ানো হচ্ছে এক ঘণ্টা, যা আগামী রোববার (২০ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হবে। নতুন সূচিতে সকালে আধঘণ্টা আগে ট্রেন চলবে এবং রাতে চলবে আধঘণ্টা বেশি।
এর পাশাপাশি আগামী মাসের মাঝামাঝি থেকে ট্রেনের ট্রিপ সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। এতে ট্রেনের ফ্রিকোয়েন্সি আরও কমে আসবে এবং যাত্রীরা অপেক্ষা ছাড়াই দ্রুত ট্রেন পাবেন।
ডিএমটিসিএলের সূত্র জানায়, চলাচলের সময় ও ট্রিপ সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি ইতিপূর্বেই নীতিগতভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছিল এবং গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলক কার্যক্রমও চলছে।
মঙ্গলবার এক বৈঠকে প্রথম ধাপে চলাচলের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে সেবা বাড়ানো হচ্ছে। আগামী রোববার থেকে এক ঘণ্টা বেশি সময় মেট্রোরেল চালানো হবে। ট্রিপ বাড়ানোর বিষয়টি এখনও পরীক্ষাধীন, তবে নভেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ তা চালু হতে পারে।
বর্তমানে মেট্রোরেলে দৈনিক গড়ে সাড়ে চার লাখ যাত্রী চলাচল করে। নতুন সময়সূচি ও ট্রিপ বৃদ্ধির পর যাত্রী সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়াতে পারে বলে আশা করছে ডিএমটিসিএল।
নতুন সময়সূচি (রোববার থেকে কার্যকর):
উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে
বর্তমান: সকাল ৭:১০ – রাত ৯:০০
নতুন: সকাল ৬:৪০ – রাত ৯:৩০
মতিঝিল স্টেশন থেকে
বর্তমান: সকাল ৭:৩০ – রাত ৯:৪০
নতুন: সকাল ৭:০০ – রাত ১০:১০
শুক্রবারে
বর্তমান: বেলা ৩:০০ – রাত ৯:০০
নতুন: বেলা ২:৩০ – রাত ৯:৩০
ট্রেন ও ট্রিপ সংখ্যা:
বর্তমানে ২৪ সেট ট্রেনের মধ্যে ১২টি ট্রেন নিয়মিত যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত। বাড়তি সময়সূচি ও ট্রিপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ১৯টি ট্রেন সার্বক্ষণিক চলবে। ২টি ট্রেন ওয়ার্কশপে রাখা হয় এবং একটি ট্রেন লাইনের পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়।
ট্রেনের ফ্রিকোয়েন্সি কমবে
বর্তমানে তিন ধাপে ট্রেন চলাচল করে—
পিক আওয়ারে: প্রতি ৬ মিনিট পরপর
অফ-পিক আওয়ারে: প্রতি ৮ মিনিট পরপর
সুপার অফ-পিক আওয়ারে: প্রতি ১০ মিনিট পরপর
আগামী মাস থেকে সময়ের ব্যবধান কমিয়ে তা যথাক্রমে ৪, ৬ ও ৮ মিনিটে আনা হবে। এতে বর্তমানে দৈনিক ২৩৮ ট্রিপের সংখ্যা আরও বাড়বে। যাত্রীরা দ্রুত ট্রেন পাবেন, অপেক্ষার সময় কমবে।
মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতি
চালু: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ (উত্তরা-আগারগাঁও)
সম্প্রসারণ: মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রী চলাচল শুরু ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
চলমান কাজ: কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণ
প্রকল্প ব্যয়: অনুমোদিত ২১,৯৮৫ কোটি টাকা → বর্তমানে ৩৩,৪৭২ কোটি টাকা
ঋণ: জাইকা থেকে ১৯,৭১৮ কোটি টাকা
মেট্রোরেলের নিয়মিত যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্সি কর্মকর্তা আরশাদুল হক বলেন, ঢাকার যানজটের বাস্তবতায় মেট্রোরেলের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। সময় ও ট্রিপ বাড়লে তা যাত্রীদের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক।
এমকে/এসএন