৪ জিম্মির মৃতদেহ ফেরত পাওয়ার পর গাজা ও মিশরের মধ্যে রাফাহ ক্রসিং খুলে দেয়ার এবং গাজায় মানবিক সহায়তা স্থানান্তরের অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরাইল। বুধবার (১৫ অক্টোবর) এ তথ্য জানায় ইসরাইলি পাবলিক ব্রডকাস্টার কেএএন।
এর আগে ইসরাইল ঘোষণা দিয়েছিল, জিম্মিদের মরদেহ ফেরত না দিলে গাজায় প্রবেশকারী ত্রাণ ট্রাকের সংখ্যা অর্ধেক করা হবে। সেই পরিকল্পনা বাতিল করে ত্রাণ ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলো ইসরাইল।
আগে হামাস বলেছিল জিম্মিদের মরদেহগুলো খুঁজে পেতে দেরি হওয়ায় তারা সেগুলো পাঠাতে পারছে না।
এদিকে, ইউনিসেফের মুখপাত্র রিকার্ডো পাইরেস জানান, ‘আমাদের সকল ক্রসিং খোলা থাকা দরকার। রাফা যত বেশি সময় বন্ধ থাকবে, গাজার মানুষের, বিশেষ করে দক্ষিণে বাস্তুচ্যুতদের দুর্ভোগ তত বেশি বাড়বে।’
এর আগে সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন, কারণ শেষ জীবিত ইসরাইলি জিম্মিদের ফিলিস্তিনি শত শত বন্দির সাথে বিনিময় করা হয়েছে।
যার ফলে আশা করা হচ্ছে যে, উপত্যকায় সাহায্য সরবরাহ দ্রুত পৌঁছে যাবে, যেখানে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা পর্যবেক্ষক সতর্ক করে দিয়েছে যে লক্ষ লক্ষ মানুষ অনাহারের মুখোমুখি হচ্ছেন।
মঙ্গলবার আইসিআরসি মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান কার্ডন জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখনও মাত্র কয়েকটি ট্রাক আসতে দেখছি এবং বিশাল জনতা এমনভাবে এই ট্রাকগুলোর দিকে এগিয়ে আসছে যা মানবিক মানদণ্ডের সাথে একেবারেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
এদিকে, মঙ্গলবার জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, তারা সপ্তাহজুড়ে ১৩৭টি ট্রাক ত্রাণসামগ্রী এনেছে।
অন্যদিকে ডাব্লিউএফপি অনুসারে, গাজা শহরের মানুষের কাছে দ্রুত সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করছে সাহায্য সংস্থাগুলো, যেখানে প্রায় ৪০০,০০০ মানুষ কয়েক সপ্তাহ ধরে সহায়তা পায়নি।
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
কেএন/টিএ