মিয়ানমারে আসন্ন নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউ’র মানবাধিকার-বিষয়ক সংস্থার বিশেষ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। দেশটিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ হয়নি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে উত্তপ্ত মিয়ানমার। সম্প্রতি শান ও কাচিন রাজ্যে ফের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জান্তা সেনাদের সংঘাত হয়েছে। ড্রোন, বিমান ও ভারি অস্ত্র দিয়ে বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালায় সেনারা।
এমন সংঘাতময় পরিস্থিতিতে মিয়ানমারজুড়ে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে একথা বলেন তিনি।
চলমান সংঘাত ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীদের কাছে চলে যাওয়ায় সব এলাকায় সরকারের পক্ষে আদশশুমারি পরিচালনা করা সম্ভব হবে না বলে আগেই ধারণা করছিলেন সংশ্লিষ্টরা। এবার সেই অপারগতা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে নিলো জান্তা সরকার।
এদিকে মিয়ানমারের আসন্ন ভোটের ফলাফল বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার-বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কাইজা অলনগ্রেন। বলেন, সামরিক সরকার-শাসিত মিয়ানমারে আসন্ন নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেই।
দেশটিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ হয়নি বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি।
দেশটির আসন্ন নির্বাচনকে প্রহসন হিসেবে দেখছেন পশ্চিমা দেশসহ সমালোচকরাও। যেকোনো উপায়ে নির্বাচন আয়োজন করে জান্তা সরকারের শাসনকে বৈধতা দেয়ার উদ্দেশেই এ আয়োজন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এমকে/এসএন