শাপলা প্রতীক নিয়ে মন্তব্য এনসিপি নেত্রী সামান্তার

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, শাপলা প্রতীক আমরা প্রতীক হিসেবে চেয়েছি পার্টি হওয়ার পরই। এটা আমরা মেসেজ দিয়েছি এবং যখন বলেছি তখন কিন্তু এটার ব্যাপারে কোনো আপত্তি জানানো হয় নাই। যখনই আমরা পদযাত্রা থেকে আসলাম, তারপর থেকে এই বিষয়টা শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সামান্তা শারমিন বলেন, পদযাত্রা চলাকালে ১৫ দিন পরেই আমরা খবর পেলাম যে শাপলা প্রতীক না দেওয়া হতে পারে। এটার কারণ হলো পুরো পদযাত্রায় প্রথম ১৫ দিন শাপলা প্রতীক নিয়ে যে পরিমাণ মানুষের উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। এটা নজিরবিহীন। ইভেন যেদিন আমরা প্রথম অফিশিয়ালি শাপলা প্রতীক চাইলাম এবং নিবন্ধন পত্রগুলো জমা দিলাম কাগজপত্র সেদিন পুরো সোশ্যাল মিডিয়া পুরোপুরি কাভারডআপ ছিল উইথ শাপলা। এটার একটা কারণ এটা খুবই জনপ্রিয় ইটসেলফ একটা জনপ্রিয় সিম্বল।

তিনি বলেন, এটা শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করলে তো হবে না। শাপলা ফুলের যে নমনীয়তা, সহজলভ্যতা এবং যে যেকোনো জায়গায় বেঁচে থাকার অ্যাডাপ্টেবিলিটি, এটার কারণেই মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা যখন এই প্রতীকটা চাচ্ছি এবং আমার পার্টির সঙ্গে এটা অনেক বেশি কনসেপচুয়ালি রিলেট করে। যখনই আমরা এটা চাইলাম এবং ইসি, সিইসি যতবারই যুক্তি দেখাচ্ছে আমরা ততবারই খণ্ডন করছি।

সামান্তা দাবি করেন, আমাদের পার্টিতে এই মুহূর্তে যত পরিমাণ তাত্ত্বিক নেতা আছেন এটা তো কোনো পলিটিক্যাল পার্টিতে নাই। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকেই এখানে খুবই ক্যাপাবল এবং সবচেয়ে সাংগঠনিক লোকটাকেও দেখবেন যে তার আইনগত তত্ত্বীয় ভিত্তি অর্থাৎ তথ্যগত সমৃদ্ধি এটা অনেক ভালো।

এনসিপির এই নেত্রী বলেন, এই মানুষগুলোকে খুব সহজে বোকা বানানো সম্ভব নয়। ইসি যেটা চেষ্টা করল, বিভিন্ন ধরনের তত্ত্ব যুক্তি এগুলো আনা শুরু করল। প্রত্যেকটা আমরা যখন খণ্ডন করলাম, একটা পর্যায়ে তিনি কিন্তু হাত তুলে দিয়ে সারেন্ডার করল।

সামান্তা শারমিন বলেন, শাপলা প্রতীকটা নিয়ে ইসি আমাদেরকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে, যে পর্যায়ে আসলে কিন্তু আমাদের আর কিছু করার থাকবে না। সেক্ষেত্রে এনসিপি নির্বাচনে যাবে না। যদি শাপলার উপরে হাত আসে তাহলে ধানের শীষ, তারকা, ঈগল এবং আরও যা যা আছে সবকিছুর উপরে হাত আসবে।

এসএস/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভারতীয় সিনেমার মহিমা আবারো বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরবে বাহুবলী Oct 18, 2025
img
শাপলা চত্বরের আন্দোলনে আসা সবার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি গোলাম পরওয়ারের Oct 18, 2025
img
নিজেদের মর্যাদা নষ্ট করবেন না, এনসিপিকে সতর্ক করলেন ফারুক Oct 18, 2025
img
১৫০ কোটির বিজ্ঞাপনে ইতিহাস গড়লেন ‘জওয়ান’ পরিচালক অ্যাটলি Oct 18, 2025
img
হিরো আলমকে গোসল করাতে দুধ নিয়ে আসছেন নারী ভক্তরা! Oct 18, 2025
img
তিস্তা প্রকল্পের দাবিতে নেওয়া কর্মসূচিটি খুবই ব্রিলিয়ান্ট : জাহেদ উর রহমান Oct 18, 2025
img
এনআইডি ছাড়া ট্রেনে যাত্রা নয়, রেলওয়ের নতুন নির্দেশনা Oct 18, 2025
img
তৃতীয়বারের মতো ঢাকা মাতাতে আসছে পাকিস্তানি ব্যান্ড ‘জাল’ Oct 18, 2025
img
জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করে এনসিপি রাজনীতি থেকে ছিটকে যায়নি : নাহিদ ইসলাম Oct 18, 2025
img
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, অঙ্কনের অভিষেক Oct 18, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় তিন বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস Oct 18, 2025
img
‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের মাইলফলক: ইইউ রাষ্ট্রদূত Oct 18, 2025
img
বোরকা নিষিদ্ধ করে আইন পাস করেছে পর্তুগাল Oct 18, 2025
img
পরাজিত শক্তির ন্যারেটিভে সনদ বানচাল করতে চাইলে দেশ পিছিয়ে পড়বে : অ্যাটর্নি জেনারেল Oct 18, 2025
img
শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে নীতিগতভাবে একমত বিএনপি : মির্জা ফখরুল Oct 18, 2025
img
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক চর্চা শুরু হয়েছে : সালাহউদ্দিন আহমদ Oct 18, 2025
img
১০৩ বছর বয়সে চলে গেলেন নোবেল বিজয়ী চেন নিং ইয়াং Oct 18, 2025
img
আবারও পাকিস্তান ক্রিকেটে নেতৃত্ব পরিবর্তনের গুঞ্জন Oct 18, 2025
img
আড্ডায় শাহরুখ, সালমান ও আমিরের বন্ধুত্বের স্মৃতিচারণ Oct 18, 2025
img
ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: সেরা রান সংগ্রাহক সম্পর্কে ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী Oct 18, 2025