ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফেংশেন, সরানো হচ্ছে বাসিন্দাদের

ধেয়ে আসছে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ফেংশেন। এদিকে ঘূর্ণিঝড়টির মোকাবিলায় জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ফিলিপিন্সে। ফিলিপিন্সের প্রশান্ত মহাসাগরের তীরবর্তী ক্যাটানডুয়ানেস দ্বীপ থেকে হাজার হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি এই মুহূর্তে ফিলিপিন্সের সামার আইল্যান্ডের উপকূল থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এবং ক্যাটানডুয়ানেস দ্বীপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ঝড়ের কেন্দ্রস্থলটি আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে ঘণ্টায় ৮০ কিমি (৫০ মাইল) বেগে ২ লাখ ৭০ হাজার জনসংখ্যার দ্বীপটি অতিক্রম করবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ফেংশেনের প্রভাবে ফিলিপিন্সের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ১-২ মিটার (৩-২ ফুট) ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্বীপের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ৯ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ফিলিপিন্সের আবহাওয়া বিভাগ ফিলিপাইন অ্যাটমোস্ফেয়ারিক, জিওফিজিক্যাল অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (পাগাসা) জনসাধারণকে বন্যা, ভূমিধস ও ঝড়ের কারণে সৃষ্ট ঢেউসহ বিভিন্ন বিপদের জন্য সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তা গেরি রুবিও বলেন, ক্যাটানডুয়ানেস প্রাদেশিক সরকার স্থানীয় কর্মকর্তাদের উপকূল, নিম্নভূমি ও ভূমিধস-প্রবণ ঢালসহ ‘উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার’ বাসিন্দাদের জন্য ‘তাদের নিজ নিজ স্থানান্তর পরিকল্পনা সক্রিয় করার’ নির্দেশ দিয়েছে।

পার্শ্ববর্তী প্রদেশ সোরসোগন ও অ্যালবেও স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই এলাকাগুলোতে লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। ফিলিপিন্সে প্রতিবছর গড়ে ২০টি ঝড় ও টাইফুন আঘাত হানে। নিয়মিতভাবে দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়। ঘূর্ণিঝড় ফেংশেন চলতি বছরের ১৮তম ঝড়।

বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন, মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের এই গ্রহ উষ্ণ হওয়ার সাথে সাথে ঝড় অধিকতর শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ফিলিপিন্সে গত তিন সপ্তাহে একাধিক বড় ভূমিকম্পের কারণে কমপক্ষে ৮৭ জন প্রাণ হারিয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা


Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফরিদপুরে বিএনপির বাধায় স্থগিত জামায়াতের নির্বাচনি সভা Oct 18, 2025
img
ওয়ানডেতে ইতিহাস গড়লেন রিশাদ হোসেন Oct 18, 2025
img
আ.লীগ-বিএনপি-জামায়াতকে কৃতকর্মের দায় নিতে হবে : আনু মুহাম্মদ Oct 18, 2025
img
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু Oct 18, 2025
img
থালা-বাটি হাতে এবার ‘ভূখা মিছিল’ করবেন শিক্ষকরা Oct 18, 2025
সেনা হেফাজতে তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার: পরিচিতদের ভিন্ন বক্তব্য Oct 18, 2025
img
বিএনপি সরকার গঠন করলে হাসপাতালে শয্যা ও চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো হবে : তারেক রহমান Oct 18, 2025
img
জর্ডানে ব্যর্থ অ-১৬, ব্যাখ্যা নেই কোচের Oct 18, 2025
img
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে মিরাজের মন্তব্য Oct 18, 2025
img
শাহজালাল বিমানবন্দরের ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি Oct 18, 2025
img
ঢাকার ৪ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর Oct 18, 2025
সাংবাদিকদের ওপর মেজাজ হারালেন বিএনপি মহাসচিব! Oct 18, 2025
img
শত টন পণ্য পুড়ে ছাই হওয়ার আশঙ্কা শাহজালাল বিমানবন্দরে Oct 18, 2025
img
বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ড কি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, এ ব্যাপারে আমরা উদ্বিগ্ন : ডা. শফিকুর রহমান Oct 18, 2025
img
এনসিপি হয়তো নির্বাচনে অংশ নেবে না : মোস্তফা ফিরোজ Oct 18, 2025
বাবর আজমের টি-টোয়েন্টি কমব্যাক নিশ্চিত! Oct 18, 2025
বাংলাদেশ ক্রিকেট মানেই সাকিবকে বুঝি Oct 18, 2025
তিন খানের গল্পে রিয়াদে মঞ্চজুড়ে হাসি, স্মৃতি আর বন্ধুত্ব Oct 18, 2025
গসিপ ও ট্রল উপেক্ষা করে নিজের পথে ইধিকা Oct 18, 2025
মান্নাত ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে শাহরুখ খান Oct 18, 2025