যে কোনও উদ্যাপনে সুন্দর করে সাজেন। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়নাও পরেন। এ বছরের ধনতেরসে তাঁর ‘গয়নার বাক্স’-তে নতুন কী সংযোজন? শ্রীময়ী চট্টরাজ নিজেই যেমন জানিয়েছেন, মেয়েকে সোনার গয়না কিনে দিয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। জানিয়েছেন, তাঁর ‘জীবন্ত মা লক্ষ্মী’র জন্য ছোট্ট উপহার।
কাঞ্চন নিশ্চয়ই মেয়ের মাকেও ভরিয়ে দিয়েছেন গয়নায়? প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। শ্রীময়ী জানিয়েছেন, মেয়ে হয়েও গয়নার প্রতি কোনও ঝোঁক নেই তাঁর। “ফুলশয্যার রাতে কাঞ্চন জানতে চেয়েছিল, কী গয়না চাই। বলেছিলাম, গয়না চাই না। ইউরোপে বেড়াতে যাব। শুনে ওর আফসোস, ওর থেকেও নাকি আমি আগোছালো। কী করে সংসারের হাল ধরব?” তার পরেই তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন শাশু়ড়ি মায়ের কানপাশা, লোহা বাঁধানো-সহ নানা গয়না।
গয়না শুধুই শখ নয়, এখনও মেয়েদের ‘সেফটি ডিপোজ়িট’। এ ভাবে দেখলেও তো শ্রীময়ীর গয়না কেনা উচিত! তার উপর কন্যাসন্তানের মা। মেয়ের বিয়ের সময়েও...
কথা শেষ করার আগেই অভিনেত্রী বলে উঠলেন, “কৃষভির সময়ে মেয়েদের আর গয়নার প্রতি ঝোঁক থাকবে বলে মনে হয় না। আর আমার গয়নার বাক্সে যা আছে তা ওর জন্য যথেষ্ট।” মা, ঠাকুরমা-র ভারী, পুরনো আমলের গয়নায় ভর্তি তাঁর বাক্স। শ্বশুরবাড়ির তরফ থেকে পেয়েছেন কাঞ্চনের মায়ের আংটি, সীতাহার-সহ রকমারি গয়না। কাঞ্চনও বৌকে কিনে দিয়েছেন কিছু। শ্রীময়ী তুষ্ট।
তাই এ বছরের ধনতেরসে তিনি কিনেছেন ঠাকুরের সোনার জল করা মুকুট, হার আর রুপোর বাসন। “সোনার যা দাম, শুনেই ছ্যাঁকা খাচ্ছি! ছোঁব কী?”, হাসতে হাসতে জানালেন শ্রীময়ী।
ইএ/টিএ