যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা চরমে, ওয়াশিংটন থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করল কলম্বিয়া

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত কলম্বিয়ার রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সাহায্য বন্ধের হুমকি দেয়ার এবং কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার পর এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়। খবর আল জাজিরার।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার জানায়, রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল গার্সিয়া-পেনা ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোর সাথে দেখা করতে বোগোটায় পৌঁছেছেন, যাকে ট্রাম্প রোববার ‘অবৈধ মাদক নেতা’ বলে অভিহিত করেছেন।

দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধের মূল কারণ হলো ক্যারিবীয় অঞ্চলের জাহাজগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, যার বেশিরভাগই ভেনেজুয়েলা থেকে মাদক পরিবহনের অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাহাজগুলোতে বেশ কয়েকবার চালানো মার্কিন হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ব্যাপকভাবে মার্কিন ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা পেত্রো তীব্র সমালোচনা করেছেন।

এদিকে, রোববার এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, কলম্বিয়াকে সাহায্য বন্ধ করে দেয়া হবে এবং হুমকি দেয়া হয়েছে যে, যদি পেত্রো দেশে মাদক পাচার রোধে আরও পদক্ষেপ না নেন, তাহলে আমেরিকা নিজেই এই কাজটি করবে এবং তা ভালো কোনো কাজ হবে না।

কলম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরমান্ডো বেনেদেত্তি সোমবার বলেন, তিনি এই মন্তব্যগুলোতে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ বা সামরিক পদক্ষেপের হুমকি হিসেবে দেখছেন।

এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, তারা শুক্রবার কলম্বিয়া থেকে আসা একটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে, অভিযোগ করেছে যে, এটি মাদক পরিবহনে জড়িত একটি বামপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসন এই দাবিগুলোর বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেয়নি।

অন্যদিকে, পেত্রো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন, হামলায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন আলেজান্দ্রো কারাঞ্জা নামে একজন কলম্বিয়ান জেলে, যার মাদক পাচারের সাথে কোনো সম্পর্ক ছিল না।

‘মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা হত্যা করেছেন এবং আঞ্চলিক জলসীমায় আমাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছেন’ বলেও অভিযোগ করেন পেত্রো।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন জিততে পারবে বলে মনে হয় না : ট্রাম্প Oct 21, 2025
img
আপিলে বিভাগে নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনের মামলার শুনানি পেছাল Oct 21, 2025
img
রাজশাহীতে ৫৫ লাখ টাকার সোনার বারসহ যুবক আটক Oct 21, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফেরাতে শুরু আপিল শুনানি Oct 21, 2025
img
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সম্ভাবনা Oct 21, 2025
img
চেলসির সাবেক ম্যানেজার এখন সুইডেনের নতুন কোচ Oct 21, 2025
img
ধীরে ধীরে টিকটকের পথে হাঁটছে ফেসবুক Oct 21, 2025
img
পুতিন কিয়েভের ৭৮ শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছে: ট্রাম্প Oct 21, 2025
img
ইউএস-বাংলায় যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, মোট এয়ারক্রাফট ২৫টি Oct 21, 2025
img
জুলাই জাতীয় সনদে সই না করা দলগুলো স্বাক্ষর করবে, আশা সালাহউদ্দিনের Oct 21, 2025
img
অনুরোধ সত্ত্বেও রোনালদোকে আনতে পারল না ভারত Oct 21, 2025
img
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে উইকিপিডিয়া Oct 21, 2025
img

টাস্কফোর্স প্রতিবেদন

অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভরতা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে দুর্বল বিবিএস Oct 21, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু Oct 21, 2025
img
সিরিজ জয়ের মিশনে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ Oct 21, 2025
img
আমরা নিয়মিত উইকেট হারিয়েছি, স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারিনি : নিগার সুলতানা Oct 21, 2025
img
ন্যায্য চুক্তিতে সম্মত না হলে চীনকে ১৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের Oct 21, 2025
img
অর্ধেক প্লেট ফল ও সবজি রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের Oct 21, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে রিভিউ শুনানি আজ Oct 21, 2025
img
সৌদি আরবকে চুক্তিতে আনতে নতুন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ট্রাম্পের Oct 21, 2025