সরকারি অর্থে দুটি বিলাসবহুল প্রাইভেট জেট কিনে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের (ডিএইচএস) সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম। ১৭২ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এই বিমান কেনার ঘটনাকে করদাতাদের অর্থের "স্পষ্ট অপব্যবহার" বলে অভিহিত করে পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সেনেটের সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার।
শনিবার নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে প্রথম এই তথ্য সামনে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সেক্রেটারি নোয়েম এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের ব্যবহারের জন্য দুটি গালফস্ট্রিম জি৭০০ মডেলের প্রাইভেট জেট কেনা হয়েছে, যা 'শিল্পের সবচেয়ে প্রশস্ত কেবিন'-এর জন্য পরিচিত।
এই কেনাকাটার পক্ষে ট্রাম্প প্রশাসন "নিরাপত্তাজনিত কারণ" দেখালেও সেনেটের সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সোমবার এক ভিডিও বার্তায় শুমার এই ব্যয় তদন্তের জন্য গভর্নমেন্ট অ্যাকাউন্টিবিলিটি অফিসকে (জিএও) আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, "আমি জিএও-এর কাছে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি, এই জেট কেনার পেছনে কী এমন যুক্তি আছে।"
শুমার আরও বলেন, "যখন আমেরিকানরা মুদি দোকানে বেশি অর্থ দিচ্ছে, গাড়ির কিস্তি পরিশোধে পিছিয়ে পড়ছে এবং বিদ্যুতের বিল ক্রমাগত বাড়ছে, ঠিক সেই সময়ে সেক্রেটারি নোয়েম করদাতাদের টাকায় এমন বিলাসবহুল জেট কেনাকে যৌক্তিক মনে করছেন।"
এই ঘটনায় শুধু সেনেটেই নয়, প্রতিনিধি পরিষদেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। হাউজ অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস কমিটির র্যাঙ্কিং সদস্য রোসা ডিলাউরো এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সাবকমিটির র্যাঙ্কিং সদস্য লরেন আন্ডারউডও এই কেনাকাটার বিষয়ে সেক্রেটারি নোয়েমের কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন।
তথ্যসূত্র: আনাদোলু
আইকে/ টিএ