সালমান শাহ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৭ ডিসেম্বর

চিত্রনায়ক সালমান শাহকে হত্যার অভিযোগে রমনা মডেল থানার মামলায় তার সাবেক স্ত্রী সামীরা হকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান মামলার এজাহার গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন সামীরা হকের মা লতিফা হক লুছি, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, খলনায়ক ডন, ডেবিট, জাভেদ, ফারুক, রুবী, আ. ছাত্তার, সাজু, রেজভি আহমেদ ওরফে ফরহাদ।

এর আগে গত সোমবার সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।

এই নির্দেশের পর ওইদিন মধ্যরাতে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর পক্ষে তার ভাই মোহাম্মদ আলমগীর কুমকুম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে চিত্রনায়ক সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা করেন সালমান শাহর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই অভিযোগটি হত্যা মামলায় রূপান্তরের আবেদন করা হয়।

এ বিষয়ে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। প্রতিবেদনে এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলা হয়। পরে ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।

তবে প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়। কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে হত্যা মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী।

২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করা হয়।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৬৯ বছরে ইতিহাসে এমন নজির আর দেখেনি বার্সেলোনা Oct 22, 2025
img
পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ শিবলী-রিয়াজ Oct 22, 2025
img
ইথিওপিয়ায় লাইনচ্যুত হয়ে ২ ট্রেনের সংঘর্ষ, নিহত অন্তত ১৫ Oct 22, 2025
img
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ Oct 22, 2025
img
আদালত অবমাননার অভিযোগে সিইসিকে আইনি নোটিশ Oct 22, 2025
img
নারী, দখল, চাঁদাবাজি : ক্ষমতাবান হারুনের যত কেলেঙ্কারি Oct 22, 2025
img
পদোন্নতি পেয়ে এএসপি হলেন ৮০ পুলিশ পরিদর্শক Oct 22, 2025
img
জোটবদ্ধ হলো মধ্যপ্রাচ্যের দুই মুসলিম দেশ Oct 22, 2025
img
জেনে নিন আজ দেশে কত দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ Oct 22, 2025
img
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা আজ Oct 22, 2025
img
বিশ্বের দূষিত শহরের শীর্ষে দিল্লি, তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৫ম Oct 22, 2025
img
স্টেশনে ঢুকে মেট্রোরেলে না চড়লেও দিতে হবে ১০০ টাকা Oct 22, 2025
img
রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, থাকবে গরমের দাপট Oct 22, 2025
img
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে হঠাৎ পতন Oct 22, 2025
img
সুপার ওভারে ম্যাচ হারার পর মিরাজের মন্তব্য Oct 22, 2025
img
অর্থনীতির সর্বনাশ, দুর্নীতির পৌষ মাস : রনি Oct 22, 2025
img
বাংলাদেশি টাকায় আজকের (২২ অক্টোবর) মুদ্রা বিনিময় হার Oct 22, 2025
img
সেনা কর্মকর্তাদের আনা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে Oct 22, 2025
img
চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ রিয়াল-জুভেন্টাস মহারণ, একই রাতে মাঠে লিভারপুলও Oct 22, 2025
img
শিশুখাদ্য আমদানিতে শতভাগ মার্জিনের শর্ত শিথিল Oct 22, 2025