থাইল্যান্ডের ব্যস্ত রাস্তায় লাইভ স্ট্রিম করতে করতে হঠাৎ এক অদ্ভুত পরিস্থিতিতে পড়েন মার্কিন ইউটিউবার ড্যারেন জেসন ওয়াটকিন্স জুনিয়র, যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘স্পিড’ নামে বেশি পরিচিত। মোটরবাইকে চড়ে যাওয়া কয়েকজন তরুণ তার সামনে এসে উচ্ছ্বাস ভরা কণ্ঠে চিৎকার করে ডাকে—‘টি ভি কে’, ‘থালাপতি বিজয়’। তারা যেমন উৎসাহ দেখাচ্ছিল, স্পিডের মুখে ততটাই ধরা পড়ছিল বিভ্রান্তি। তিনি বারবার বুঝতে চাইছিলেন বিষয়টা কী, কিন্তু কথোপকথন যত এগোচ্ছিল, বিভ্রান্তি ততই বাড়ছিল।
ভক্তরা যখন বলতে শুরু করল বিজয়ই ভারতের প্রধানমন্ত্রী, তখন স্পিড আর সামলে রাখতে পারেননি বিস্ময়। লাইভেই হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। তবুও ভদ্রভাবে মোটরবাইকে ওঠার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। কেউ হাসছিল, কেউ আবার অবাক হচ্ছিল—আর ঠিক সেই মুহূর্তটিই স্পিডের লাইভ থেকে ছড়িয়ে পড়ে পুরো সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটি ঘিরে শুরু হয় নতুন ধরনের সাংস্কৃতিক মিসকমিউনিকেশন নিয়ে আলোচনা।
অনেক দর্শক মজা করে মন্তব্য করেন, তামিল তারকা বিজয়কে সত্যি সত্যি প্রধানমন্ত্রী বানানোর ‘জন্ম-ঘোষণা’ যেন এই পথের ধুলোতেই হয়ে গেল। আবার কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—বিদেশে গিয়ে এভাবে অন্য কারও ওপর আঞ্চলিক আবেগ চাপিয়ে দেওয়া মোটেই শোভন নয়।
‘টি ভি কে’ আসলে তামিলাগা ভেত্রি কাজগামের সংক্ষিপ্ত রূপ—বিজয়ের নতুন রাজনৈতিক দলের নাম, যা নিয়ে দক্ষিণ ভারতে এখন প্রবল উত্তেজনা। ২০২৬ সালের তামিলনাডু নির্বাচনকে ঘিরে বিজয় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিকভাবে তুমুল আলোচনায়। সেই উত্তাপ যেন সীমান্ত পেরিয়েই এসে ধাক্কা খায় স্পিডের লাইভ ক্যামেরায়।
এই পুরো ঘটনাই এখন আন্তর্জাতিক মজার উপাখ্যান হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে—কিন্তু একই সঙ্গে উঠছে প্রশ্ন, তারকার প্রতি ভালোবাসার নামে বিন্দুমাত্র তথ্যজ্ঞানহীনতা কি আন্তর্জাতিক অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে না?
আরাপি/এসএন