চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ যাতায়াতের সুবিধার্থে নতুনভাবে আরও ৬টি ই-কার সংযোজন করা হয়েছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে ই-কারের সংখ্যা দাঁড়াল ১২টি।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন নবসংযোজিত ৬টি ই-কারের উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কানন, চাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সাঈদ বিন হাবিব, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) আইয়ুবুর রহমান তৌফিক, যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক ইসহাক ভূঁঞা এবং সহ-যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক ওবায়দুল সালমানসহ আরও অনেকে।
চাকসুর যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক ইসহাক ভূঁঞা বলেন, আমাদের ইশতেহারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল ই-কারের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন ৬টি ই-কার যুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী ভবিষ্যতে আরও ই-কার সংযোজনের পরিকল্পনা রয়েছে। যেসব হল, অনুষদ বা স্থানে ই-কার চলাচল নেই, সেখানে নির্দিষ্ট রুট ও স্টপেজ নির্ধারণ করে ই-কার চলাচল নিশ্চিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেক শিক্ষার্থী ই-কারের ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছেন। ভাড়া কমানোর বিষয়টি নিয়ে আমরা শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আমরা ই-কারের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছি। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও ই-কার সংযোজন করা হবে। যেসব স্থানে আগে ই-কার চলাচল করত না যেমন ফরেস্ট্রি, আইন অনুষদসহ অন্যান্য এলাকাতেও এখন ই-কার চলবে। পাশাপাশি, ১০ টাকার বেশি ভাড়া না নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে তিনটি রুটে ই-কার সেবা চালু রয়েছে। ফরহাদ হোসেন হল থেকে আব্দুর রব হল, শহীদ হৃদয় তরুয়া ভবন ও শহীদ মিনার হয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত একটি রুটে ই-কার চলছে।
দ্বিতীয় রুটটি আইন অনুষদ থেকে দুই নম্বর গেট, ল্যাবরেটরি স্কুল, আলাওল হল, সোহরাওয়ার্দী হল, জিরো পয়েন্ট হয়ে শহীদ মিনার পর্যন্ত। এছাড়া জিরো পয়েন্ট থেকে শহীদ মিনার, লাইব্রেরি, সায়েন্স ফ্যাকাল্টি ও বায়োলজিক্যাল সায়েন্স পর্যন্ত রুটে আরেকটি ই-কার চলাচল করছে।
আইকে/ টিকে