সব দলই চেতনার ধান্দাবাজি-চান্দাবাজিতে যুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা।
তিনি বলেন, ‘চেতনার ধান্দাবাজি আর চান্দাবাজি। এই চান্দাবাজির অভিযোগ তুলে ড. রেজা কিবরিয়া নুরুল হক নুরের দল থেকে সরে এসেছিলেন। কিন্তু তার দল কি এখন সেটা থেকে মুক্ত আছে?
তাহলে এই ধান্দাবাজি-চান্দাবাজির সঙ্গে নুরের দল, বিএনপি, বর্তমান এনসিপি আর জামায়াত; কেউ কি মুক্ত আছে?’
দেশের একটি গণমাধ্যমকেের টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক যে, নতুন বাংলাদেশে সংস্কারের জন্য একটা ভীষণ রকমের সুযোগ ছিল।
কিন্তু সেটা হচ্ছে না। আমরা প্রত্যেকে কোনো না কোনো দলের সমর্থন করতে পারি, সেটা ভিন্ন আলাপ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এই প্রথম একটা এত বড় সুযোগ পেয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘এখানে দুটো সমস্যা হয়েছে।
আপনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় থেকে এই আলোকময়তার যুগে মানুষের আবেগ থাকবে। এখন ঘটনা কী হয়েছে। ৭১ যখন হয়েছে আপনি একটা আবেগে ছিলেন। আবেগটা দিয়ে তো মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে।
কিন্তু সেই আবেগের যৌক্তিকতা তৈরি করতে পেরেছেন কি?’
তিনি বলেন, ‘ধরেন ৩০ লক্ষ না, অনেকে বলেন ৩ লক্ষ। যদি ৭ কোটির মধ্যে ৩ লক্ষ হয়, তার কত পার্সেন্টেজ মানুষ গত জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় মারা গেছে। ওই সময় যারা মারা গেল, ওই গণহত্যার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল; তারা এখন আবার বলে যে, ওইটা বাদ দিয়ে এই ১৪০০ বা ৮০০ মানুষকে যারা মেরেছে তারা হচ্ছে গণহত্যাকারী।’
‘সাত কোটি মানুষের মধ্যে তিন লক্ষ, আর এখন ১৮ কোটি মানুষ থেকে সরকারি হিসেবে ৮০০ আর ইউএন-এর হিসেবে ১৪০০; তাহলে এবার অনুপাতের অংক করে দেখেন, গল্পটা কী হলো? কোনো একটা বিশেষ দলের বক্তব্য অনুযায়ী তিন লক্ষ মানুষ মারাটাকে আপনি বলে দিলেন ওগুলো আমাদের ভুলে যেতে হবে, ওই চেতনাকে ভুলে যেতে হবে। ওই গণহত্যার সঙ্গে যে যুক্ত, তারা হয়ে গেল হিরো আর এই গণহত্যার সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা হয়ে গেল জিরো।
তাহলে গল্পটা কী হলো?’
আইকে/টিএ