জুলাই শহীদ পরিবারের সাথে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে শহীদ পরিবারের সদস্যরা কমিশনকে জানান, যেসব আদর্শ ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তাদের সন্তানরা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তা আজও পূরণ হয়নি। বরং বিভিন্ন দফতরে তারা নানাভাবে লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন।
তারা জানান, নানা সময়ে নিজেদের সমস্যাগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করলেও অদৃশ্য প্রতিবন্ধকতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
শহিদ পরিবারবর্গ আরও বলেন, জুলাই জাতীয় সনদের একটি আইনি ভিত্তি থাকা প্রয়োজন, একইসঙ্গে তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়টিও জরুরি। এ বিষয়ে উপস্থিত সকল শহিদ পরিবারের সদস্যরা একমত পোষণ করেন।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা অবগত যে জুলাই ফাউন্ডেশন এই বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তবে শহীদ পরিবারবর্গ যে প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছেন না এবং বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন—তা তাদের জানা ছিল না। কমিশন আশ্বস্ত করে যে, উত্থাপিত সব বিষয় যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছে দেওয়া হবে।
শহীদ পরিবারগুলো যখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, কমিশন এ ব্যাপারে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।
বৈঠকে জুলাই শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের হয়ে উপস্থিত ছিলেন শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া (শহীদ ফারহান ফাইয়াজ এর পিতা), মীর মোস্তাফিজুর রহমান (শহীদ মুগ্ধ র পিতা), মো. মহিউদ্দীন (শহীদ ইয়ামিন এর পিতা), কবির হোসেন (শহীদ জাবির ইব্রাহিম এর পিতা), মোহাম্মদ আবদুল মতিন (শহীদ শাহরিয়ার এর পিতা),মো. গোলাম রাজ্জাক (শহীদ রিয়ান এর পিতা), মো. গাউছ উল্লাহ (শহীদ আব্দুল্লাহ এর ভাই), সাইফ আহমেদ খান (শহীদ আব্দুল হান্নান এর ছেলে), মো. ওবায়দুল হক, সৈয়দ গাজীউর রহমান (শহীদ মোন্তাসির এর পিতা)।
আর কমিশনের পক্ষ থেকে ছিলেন, সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ-সহ সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
টিজে/টিএ