বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘এই জুলাই হঠাৎ করে এমনি এমনি হয়নি। জুলাইকে ব্যবহার করে একটি পক্ষ নিজেদের আখের গোছানোয় ব্যস্ত। জীবন থাকতে কাউকে জুলাই নিয়ে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না।’
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে রংপুরের কারমাইকেল কলেজ শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে নবীন বরণ এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
শিবির সভাপতি বলেন, ‘৭১ কে আওয়ামী লীগ তাদের নিজস্ব একান্ত সম্পদ এবং বিজনেস ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত করেছিল। ২৪ এর পরে আর এই ধারা কেউ করার চেষ্টা করবে না। একাত্তরের মর্যাদা সমুন্নত রেখে ২৪ এর প্রেরণা এবং শহীদদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাংলাদেশে গড়ে তুলতে হবে। পুরোনো বস্তাপচা রাজনীতি যদি কেউ করে, সেটার দায় বা ব্যর্থতা সেই রাজনৈতিক দলকেই নিতে হবে।’
জাহিদুল ইসলাম আরো বলেন, ‘২০০৬ সালের ২৮শে অক্টোবর বাংলাদেশের একটি কলঙ্কিত দিন হিসেবে উদাহরণ হয়ে থাকবে। তৎকালীন খুনি শেখ হাসিনা নির্দেশে সে দিন সারা দেশ থেকে লগি বৈঠা নিয়ে ঢাকায় আসার জন্য ডাক দেওয়া হয়। সে দিন মানুষকে লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে মেরে সেই লাশের উপর হায়নার মতো নিত্য করা হয়। বাংলাদেশে সেই কলঙ্ক সৃষ্টি করেছিলেন খুনি হাসিনা।
সে দিনের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের বীজ রোপন করেছিল হাসিনা। এরই ধারাবাহিকতায় ক্ষমতায় এসেই সর্বপ্রথম আমাদের দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদেরকে হত্যা করে সে। এরপর আলেম ওলামাদেরকে হত্যা করেছে। মাত্র দুই-তিনের ব্যবধানে আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে একশোরও বেশি মানুষের হত্যা করা হয়েছিল। নারী শিশু থেকে সকলকেই হত্যা করা হয়েছিল।
আমরা দেখেছি, জুলাই-আগস্টে অসংখ্য শিশু বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ জামাত ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমান বেলাল, মহানগর সভাপতি এটিএম আজম খান, ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক আরমান পাটোয়ারী, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মো. সুমন সরকার, জেলা সভাপতি ফিরোজ মাহমুদ ও মহানগর সেক্রেটারি আনিসুর রহমানসহ প্রমুখ।
সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে কলেজের সকল বিভাগের তিন দশমিক পাঁচ জিপির উপরে প্লেজধারি ৬৫ জনকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
আইকে/টিএ