অর্থ পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিশ্ব ব্যাংকে সালিশি মামলা দায়ের করেছে দেশের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম। মামলায় তাদের দাবি, বাংলাদেশ সরকারের নেয়া এসব পদক্ষেপের ফলে তার পরিবারের শতশত মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।
সোমবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউটসে (আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তি কেন্দ্র) এই আবেদন জমা দেয়া হয়।
এস আলম পরিবারের অভিযোগ, তাদের লক্ষ্য করে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে রয়েছে, অবৈধ সম্পদ জব্দ ও বাজেয়াপ্ত করা এবং সম্পদ ধ্বংস করা। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, সেই সরকার এস আলম পরিবারের বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থা নিচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসআলমের করা এই আবেদনের ফলে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে অন্তর্বর্তী সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকার যে শ্বেতপত্র কমিটি গঠন করেছিল, সেই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন বা ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে।
আবেদনে এসআলম গ্রুপ দাবি করছে, সরকার তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দের পাশাপাশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে। সেই সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে ‘ভিত্তিহীন’ তদন্ত করেছে। শুধু তাই নয়, এস আলম পরিবারের বিরুদ্ধে ‘প্ররোচনামূলক মিডিয়া অভিযান’ চালানো হয়েছে।
আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এসব কারণে এস আলম পরিবারের শত কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে, যদিও তারা ক্ষতিপূরণের সঠিক হিসাব দেননি। এই সালিশি মামলার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, যখনই আবেদন আমাদের হাতে আসবে, তখনই আমরা যথাযথভাবে উত্তর দেব।
আইকে/টিএ