২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তিপরীক্ষার নীতিমালা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। এতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, এ বছর মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তিতে আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি ও এইচএসসি মিলিয়ে সর্বনিম্ন জিপিএ ৮.৫০ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন জিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে ৮.০০।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ওয়েবসাইটে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। বিএমডিসির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. মো. লিয়াকত হোসেন নীতিমালায় সই করেছেন।
নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশি আবেদনকারীকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান দুটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.৫০ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ-৪.০০-এর কম থাকলে আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগসহ পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান পাঠ্য থাকতে হবে। একই সঙ্গে জীববিজ্ঞানে কমপক্ষে ৩.৫০ জিপিএ থাকতে হবে।
সরকারি মেডিকেলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদনের ক্ষেত্রে এসএসসি (যে দেশে এসএসসি পর্যায়ে পাবলিক পরীক্ষা নেই, সে দেশের ক্ষেত্রে দশম শ্রেণি) এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ স্কেলে সর্বনিম্ন মোট জিপিএ ৮.৫০ পয়েন্ট এবং জীববিজ্ঞানে জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট থাকতে হবে। এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৪.০০ পয়েন্টের কম থাকলে আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এসএসসি (যে দেশে এসএসসি পর্যায়ে পাবলিক পরীক্ষা নেই সে দেশের ক্ষেত্রে দশম শ্রেণি) এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় সর্বনিম্ন মোট জিপিএ ৭.০০ পয়েন্ট এবং জীববিজ্ঞানে জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট থাকতে হইবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্টের কম থাকলে আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হইবে।
তবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী অর্থাৎ সব উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রার্থীর জন্য জিপিএ ৮.০০ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া জীববিজ্ঞানে জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট থাকতে হবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্টের কম থাকতে পারবে না।
নীতিমালা অনুযায়ী, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তবে ২০২২ সালের পূর্বে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা অংশ নিতে পারবেন না।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘ও’ লেভেল বা ‘এ’ লেভেল অথবা বিদেশি শিক্ষাব্যবস্থায় সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তাদের নম্বরপত্র সমতাকরণ করতে হবে।
টিজে/টিএ