নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের ঠিক আগে প্রকাশিত দুটি নতুন জনমত জরিপেও অ্যাসেম্বলিম্যান জোয়ান মামদানি তার শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছেন, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ব্যবধান আরও বাড়িয়েছেন। প্রচারণার শেষ দিনগুলোতে অন্য দুই প্রধান প্রার্থী যখন ভোটার টানার মরিয়া চেষ্টা করছেন, তখন এই জরিপগুলো মামদানির সুবিধাজনক অবস্থানকেই তুলে ধরল।
             
        এমারসন কলেজের একটি জরিপে দেখা গেছে, ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু এম. কুওমোর চেয়ে ২৫ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। কুওমো রিপাবলিকান মনোনীত প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়ার চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। গত জুনে প্রাইমারিতে অভাবনীয় জয়ের পর থেকেই মামদানি জনমত জরিপগুলোতে এগিয়ে ছিলেন। সেপ্টেম্বরে এমারসনের শেষ জরিপের তুলনায় মামদানির প্রতি সমর্থন এবার সাত পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।
আগাম ভোটদানেও তার জোরালো সমর্থনের ইঙ্গিত মিলেছে। এমারসন পোলের তথ্যমতে, যারা ইতোমধ্যে ভোট দিয়েছেন তাদের ৫৮ শতাংশই মামদানিকে বেছে নিয়েছেন। জরিপে দেখা গেছে, মূলত তরুণ এবং কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের মধ্যে শক্তিশালী সমর্থনের কারণেই তিনি এই অবস্থানে রয়েছেন। গত দুই মাসে এই ভোটারদের একাংশ কুওমোর দিক থেকে সমর্থন সরিয়ে মামদানিকে বেছে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ম্যারিস্ট ইউনিভার্সিটির আরেকটি জরিপে দেখা গেছে, তিন প্রার্থীর এই দৌড়ে মামদানি ১৬ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন, যা তাদের আগের জরিপের সমান। সম্ভাব্য ভোটারদের মধ্যে তিনিই একমাত্র প্রার্থী যিনি সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক ভাবমূর্তি ধরে রেখেছেন।
তবে, ম্যারিস্টের এই জরিপে কুওমো এবং মামদানির মধ্যে একটি কাল্পনিক দ্বিমুখী লড়াইয়ের ফলাফলও দেখা হয়। তাতে দেখা যায়, কুওমো মাত্র সাত পয়েন্টে পিছিয়ে আছেন।
আগামী মঙ্গলবার নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ বাকি থাকতে, কুওমো বারবার স্লিওয়াকে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে মামদানির বিরুদ্ধে বিরোধী ভোট একত্রিত হতে পারে। কিন্তু স্লিওয়া সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং সাম্প্রতিক বিতর্ক ও প্রচারণায় উল্টো কুওমোকেই আক্রমণ করছেন।
বুধবার প্রকাশিত কুইনিপিয়াক ইউনিভার্সিটির একটি পৃথক জরিপেও একই ধারার ফল দেখা গিয়েছিল। সেই জরিপে ৪৩ শতাংশ সম্ভাব্য ভোটার মামদানিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন, যা কুওমোর চেয়ে ১০ পয়েন্ট বেশি ছিল। নির্বাচনের আগে প্রকাশিত এই শেষ জরিপগুলো মামদানির জয়ের সম্ভাবনাকেই জোরালো করলো।
তথ্যসূত্র নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
আইকে/এসএন