এআই দৌড়ে টিকতে ৩০ বিলিয়ন ডলার ঋণ সংগ্রহ মেটার

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দৌড়ে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যয়বহুল প্রতিযোগিতায় অর্থায়ন করার জন্য নগদ অর্থে ভরপুর প্রযুক্তি জায়ান্টরা ঋণের দিকে ঝুঁকছে, এরই মধ্যে ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটা বৃহস্পতিবার ৩০ বিলিয়ন ডলার ঋণ সংগ্রহ করেছে।

ত্রৈমাসিক আয়ে হতাশাজনক ফল প্রকাশের কারণে ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটার শেয়ারের দাম কমে যাওয়ার পরেই জানা যায়, এই সামাজিক নেটওয়ার্কিং টাইটানের বন্ডের চাহিদা সরবরাহের চেয়ে চার গুণ বেশি ছিল।

কয়েক দশকের মধ্যে পরিশোধের জন্য নির্ধারিত এই ৩০ বিলিয়ন ডলারের বন্ডের লক্ষ্য হলো এআই উন্নয়নের বেপরোয়া গতি বজায় রাখার জন্য অর্থ সরবরাহ করা, যা বর্তমানে এই ক্ষেত্রটিকে সংজ্ঞায়িত করছে।

সিএফআরএ রিসার্চের সিনিয়র ইক্যুইটি বিশ্লেষক অ্যাঞ্জেলো জিনো বলেন, ‘মনে হচ্ছে (মার্ক) জুকারবার্গের খরচের ক্ষেত্রে কোনো সীমা নেই।’

জিনো উল্লেখ করেন, মেটা বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করে এবং ওয়াল স্ট্রিট জুকারবার্গের খরচ নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও ঋণ পরিশোধ না হওয়ার ঝুঁকি খুবই কম দেখে। তিনি আরো বলেন, ‘(তবে) তারা তাদের সব অতিরিক্ত ফ্রি ক্যাশ ফ্লো ব্যবহার করে সম্পূর্ণরূপে এটিকে এআই-এ বিনিয়োগ করতে পারে না।’

যদি মেটার এআই প্রতিদ্বন্দ্বী গুগল এবং মাইক্রোসফটও একই ধরনের ঋণ গ্রহণের পদক্ষেপ নেয় তাহলে এই বিশ্লেষক অবাক হবেন না বলে জানান।

অন্যদিকে মেটার খরচ নিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের উদ্বেগই বৃহস্পতিবার লেনদেনের সময় প্রযুক্তি সংস্থাটির শেয়ারের দাম ১১ শতাংশের বেশি কমিয়ে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে ল্যাফার টেংলার ইনভেস্টমেন্টসের ফিক্সড ইনকামের প্রধান বায়রন অ্যান্ডারসন উল্লেখ করেন, কর্পোরেট বন্ডের সুদের হার দশকের সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকা সত্ত্বেও মেটার ঋণ প্রচুর বিনিয়োগকারীকে আকৃষ্ট করেছে।

অ্যান্ডারসন বলেন, ‘এআই বাণিজ্য নিয়ে কি কোনো উদ্বেগ আছে? হয়তো থাকতে পারে। কিন্তু এই কম্পানির রাজস্ব এবং মুনাফা বিশাল।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিগ বিউটিফুল বিল সম্পর্কিত এককালীন চার্জ না থাকলে, মেটা তার সম্প্রতি সমাপ্ত ত্রৈমাসিকে ১৮.৬ বিলিয়ন ডলার নিট আয় রেকর্ড করত।
এই পরিমাণ নিট আয় ওই ত্রৈমাসিকে জেনারেল মোটরস, নেটফ্লিক্স, ওয়ালমার্ট এবং ভিসার সম্মিলিত মুনাফার চেয়েও বেশি।

আরপি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
স্থগিত কাবাডির ক্যাম্প, যথাসময়ে হচ্ছে না এসএ গেমস! Nov 01, 2025
img
অদৃশ্য শক্তিকে পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব: মুরাদ Nov 01, 2025
img
বঙ্গভবন থেকে মুজিবের ছবি নামানো ‘অন্যায়’ হয়েছে: সেলিম Nov 01, 2025
img
মৌলভীবাজারে জুলাইযোদ্ধার ওপর হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ Nov 01, 2025
img
ফের ট্রাম্পের পারমাণবিক পরীক্ষার হুমকি, ‘অন্যরা করলে আমরাও করব’ Nov 01, 2025
img
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল Nov 01, 2025
img
ছাত্রদল নেতা আবিদুলের ফেসবুক আইডি ডিজেবল, ‘বট আক্রমণের শিকার’ দাবি Nov 01, 2025
img
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বড় জয়ে সিরিজে ফিরল পাকিস্তান Nov 01, 2025
img
সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবকের Nov 01, 2025
img
যা হওয়ার হয়ে গেছে, সমস্যা সমাধান করে নির্বাচনের পথে এগোন : মির্জা ফখরুল Nov 01, 2025
img
‘ঢাকায় পা রাখলেই জাকির নায়েককে যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়’ Nov 01, 2025
img
মন্ত্রী হলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন Nov 01, 2025
img
হাসপাতালে নুরুল হাসান সোহান, শরিফুলকে নিয়েও আছে শঙ্কা Nov 01, 2025
img
আ. লীগের মিছিল বেগবান হচ্ছে, দিশেহারা পুলিশ : মোস্তফা ফিরোজ Oct 31, 2025
img
টলিউডে রাজনীতি এখন আরও প্রকট: রঞ্জিত মল্লিক Oct 31, 2025
img
ফ্যাসিবাদ সরকার যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ফেলে গেছে: শামা ওবায়েদ Oct 31, 2025
img
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে: নির্বাচন কমিশনার Oct 31, 2025
img
আসন্ন নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ফেক নিউজ : শফিকুল আলম Oct 31, 2025
img
মোবাইল ফোন হারালে ব্লক করার প্রক্রিয়া Oct 31, 2025
img
ভেনেজুয়েলায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র Oct 31, 2025