দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ুংকে এক জোড়া স্মার্টফোন উপহার দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। এ সময় দুই নেতা হাস্যরসে মেতে ওঠেন। শি রসিকতা করে তাকে বলেন, ‘ব্যাকডোর আছে কি না পরীক্ষা করে দেখুন’।
এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে শনিবার গিয়ংজু শহরে এই বিরল হাস্যরসের সাক্ষী হয় উপস্থিত সবাই।
এ সময় শি ও লি একে অপরের কাছে উপহার বিনিময় করছিলেন। এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটি ছিল শির দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম সফর।
শি প্রেসিডেন্ট লিকে কোরিয়ান-তৈরি ডিসপ্লেযুক্ত দুটি শাওমি স্মার্টফোন উপহার দেন। জবাবে লি কৌতুক করে জিজ্ঞেস করেন, ‘যোগাযোগ লাইন কি সুরক্ষিত?’ এতে শি হেসে ওঠেন।
ডিভাইসগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে শি উত্তর দেন, ‘আপনার পরীক্ষা করা উচিত যে ব্যাকডোর আছে কি না,’ যার মাধ্যমে তিনি পূর্ব-ইনস্টল করা তৃতীয় পক্ষকে নজরদারি করার সুযোগ দিতে পারে এমন সফটওয়্যারকে বোঝাচ্ছিলেন। এতে লি হেসে ওঠেন ও করতালি দেন।
চীনা নেতাকে খুব কমই কৌতুক করতে দেখা যায়, গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে তো নয়ই। তাই এই সংক্ষিপ্ত কথোপকথন সপ্তাহান্তে গণমাধ্যমে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে।
সিউল শিনমুন দৈনিকে সোমবার একটি শিরোনাম ছিল, ‘শাওমি ফোনের নিরাপত্তা নিয়ে লির কৌতুকের পর হাসিতে ফেটে পড়লেন শি।’
ইউটিউবে এই কথোপকথনের একটি ভিডিওতে ৮০০টিরও বেশি মন্তব্য এসেছে, যেখানে অনেকেই এই আদান-প্রদানে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে মার্শাল আর্ট গুরুরা দ্বন্দ্বে কথার চালাচালি করছেন।’
লির মুখপাত্র কিম নাম-জুন এএফপিকে বলেছেন, এই হালকা মুহূর্তটি তুলে ধরেছে যে দুই দিনের মধ্যে একাধিক সাক্ষাৎকারে দুই নেতা কতটা ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান ও উপহার বিনিময় থেকে শুরু করে একটি ভোজ এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পর্যন্ত, উভয় নেতার একাধিকবার যুক্ত হওয়ার ও ব্যক্তিগত রসায়ন তৈরি করার সুযোগ ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘যদি এমন রসায়ন না থাকত, তবে এই ধরনের কৌতুক করা সম্ভব হতো না।’
লি সত্যিই ফোনগুলো ব্যবহার করবেন কি না- এই প্রশ্নের উত্তরে কিম এএফপিকে বলেন, এটা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘যদিও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে তিনি ফোনটি ব্যবহার করতে পারেন।’ তিনি আরো জানান, হ্যান্ডসেটগুলো লি ও তার স্ত্রীর জন্য দেওয়া হয়েছে।
টিএম/টিএ