সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জোহরান মামদানির নাম এখন ‘ট্রেন্ডিং টপিক’। তবে বাংলাদেশিদের এই উদযাপনের পেছনে মূল কারণ তার ‘মুসলিম পরিচয়’, এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসু।
এক ফেসবুক পোস্টে মেঘমল্লার লিখেছেন, “জোহরান মামদানিকে বাংলাদেশের রাইট উইং ‘মুসলমান’ পরিচয়ের কারণেই সেলিব্রেট করছে। কারণ, তিনি বাংলাদেশি নন।” তিনি আরও বলেন, ‘যদি জোহরান মামদানি বাংলাদেশি হতেন, তবে তার অন্যান্য পরিচয়—যেমন ভারতীয় হিন্দু মা মীরা নায়ারের সন্তান, সমাজতন্ত্রী রাজনীতি, শিল্পী স্ত্রী রামা দুওয়াজিকে বিয়ে করা, কিংবা সমকামী অধিকারের পক্ষে অবস্থান—এসব নিয়েই তাকে ভিন্নভাবে দেখা হতো।’
মেঘমল্লারের ভাষায়,
“বাংলাদেশি হলে তার প্রতিটি বৈশিষ্ট্যই তাকে ‘শাহবাগী’ ট্যাগ দিত, মুসলমান নয়।”
জোহরান মামদানিরে বাঙ্গু রাইট উইং 'মুসলমান' বলে সেলিব্রেট করতেসে তার একমাত্র কারণ জোহরান বাংলাদেশী না। বাংলাদেশী হইলে এই লোকগুলাই হিন্দু মায়ের সন্তান হওয়া, প্রকাশ্যে সমাজতন্ত্রী হওয়া, 'অশালীন' পোশাকে চলাফেরা করা মডেল/শিল্পীরে বিয়ে করা, সমকামীদের অধিকারের পক্ষে স্ট্রং অবস্থান নেওয়া- এর প্রতিটার জন্যই আলাদা আলাদা করে মুসলমানের তালিকা থেকে জোহরানরে সরায়ে শাহবাগী বলে ট্যাগ দিত।
৩৪ বছর বয়সে ইতিহাস গড়েছেন জোহরান মামদানি। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি শহরের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন। একই সঙ্গে, গত এক শতাব্দীতে তার চেয়ে কম বয়সী কোনো মেয়র নিউইয়র্কে নির্বাচিত হননি।
ডেমোক্রেটিক সমাজতান্ত্রিক এই তরুণ রাজনীতিক বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন সাবেক গভর্নর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুয়োমো এবং রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়াকে। তার ঐতিহাসিক জয় উদযাপন করছে বাংলাদেশি অনলাইন ব্যবহারকারীরাও।
উল্লেখ্য, জোহরান মামদানি পেশায় একজন সমাজকর্মী ও রাজনীতিক। নিউইয়র্কের অ্যাস্টোরিয়া এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে নিজের অবস্থান শক্ত করেন তিনি। তার রাজনৈতিক অবস্থান প্রগতিশীল, বহুত্ববাদী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের পক্ষে।
ইউটি/টিএ