যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালালে রাশিয়াও এমন পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার কথা বিবেচনা করবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার ( ৫ নভেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে মন্তব্য করার পর রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ওই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান খুঁজে পেতে পুতিন ও ট্রাম্প ব্যর্থ হওয়ার পর পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা ঘিরে বিশ্বের বৃহত্তম দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মাঝে নতুন করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
বুধবারের বৈঠকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। এমনকি পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরুর সম্ভাবনা বিষয়ে প্রস্তাবনা তৈরির নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।
রাশিয়া সর্বশেষ সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের এক বছর আগে ১৯৯০ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল। গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছিলেন, তিনি রাশিয়া ও চীনের সমপরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করার বিষয়ে পেন্টাগনকে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তিনি পারমাণবিক ওয়ারহেডসহ পরীক্ষা বোঝাতে চেয়েছেন কি না, সেটি স্পষ্ট করেননি।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলুসভ আর্কটিক অঞ্চলের নভায়া জেমলিয়া দ্বীপপুঞ্জে অবিলম্বে পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর জবাবে পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়, তাহলে রাশিয়াও একই পথ অনুসরণ করবে।
এর আগে, গত অক্টোবরে দু’টি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও সেই পরীক্ষায় আসল ওয়ারহেড ব্যবহার করা হয়নি।
গত জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে যুদ্ধ অবসানের এই আলোচনায় তেমন কোনও অগ্রগতিই দেখা যায়নি। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করায় ট্রাম্পের হতাশাও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
একুশ শতকের এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া ছাড়া কোনও দেশই পারমাণবিক বিস্ফোরণ সংশ্লিষ্ট অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়নি।
টিএম/টিএ