পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে দুর্বল করতে ব্যর্থ হয়েছে: পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর “কৌশলগত পরাজয়” ঘটানোর এবং দেশটিকে ভেঙে ফেলার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বুধবার (০৬ নভেম্বর) আন্তঃজাতিগত সম্পর্ক বিষয়ক কাউন্সিলের এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে জাতীয় নীতিমালার কৌশল ও বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়।

পুতিন সতর্ক করে বলেন, রাশিয়ার বাইরে তথাকথিত আন্তর্জাতিক সংস্থা ও “ছদ্ম-জাতীয় কেন্দ্র” তৈরি করা হচ্ছে, যা দেশের বিরুদ্ধে “তথ্যযুদ্ধের অস্ত্র” হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “রাশিয়ার ডিকলোনাইজেশন” নামে যে কৌশল প্রচার করা হচ্ছে, সেটি আসলে “রুশ ফেডারেশনকে ভেঙে ফেলা” এবং আমাদের ওপর “কুখ্যাত কৌশলগত পরাজয়” আরোপ করারই প্রচেষ্টা।

পুতিনের ভাষায়, এসব মহল “পোস্ট-রাশিয়া” ধারণা প্রচার করছে—একটি বিভক্ত, পরাধীন ও সার্বভৌমত্বহীন ভূখণ্ডের চিত্র।

তিনি বলেন, রুশ নাগরিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির যেকোনো উসকানি ও প্রচেষ্টা দ্রুত প্রতিহত করতে হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পেছনে থাকা ব্যক্তিরা সাধারণত “বিদেশ থেকে পরিচালিত,” এবং তারা “বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার তত্ত্বাবধানে, অর্থায়নে ও নির্দেশনায়” কাজ করে—যাদের লক্ষ্য “আমাদের জাতীয় ঐক্যকে দুর্বল করা।”

এসব বহিরাগত ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় “দৃঢ়, ধারাবাহিক ও সংগঠিতভাবে” পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান পুতিন।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার প্রতিপক্ষরা দৈনন্দিন ঘটনা থেকে শুরু করে অভিবাসন সমস্যা পর্যন্ত যেকোনো অজুহাত ব্যবহার করে উত্তেজনা ও সংঘাত উসকে দিচ্ছে এবং “খোলাখুলি সন্ত্রাসী পদ্ধতি ব্যবহারকারী” চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর ওপর নির্ভর করছে।

পুতিন বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিভিন্ন রূপে এ ধরনের ধারণা প্রচার করে আসছে, কিন্তু বারবারই ব্যর্থ হয়েছে—তবুও তাদের প্রচেষ্টা থেমে নেই।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব হুমকি হালনাগাদ জাতীয় নীতি কৌশলে প্রতিফলিত হওয়া উচিত এবং ২০২৬ সালকে “রাশিয়ার জনগণের ঐক্যের বছর” হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব সমর্থন করেন।

মঙ্গলবার রাশিয়ায় পালিত হয় জাতীয় ঐক্য দিবস। এ দিন পুতিন দিবসটিকে “দেশের স্থায়ী শক্তি ও একতার প্রতীক” হিসেবে বর্ণনা করেন।

সূত্র: আরটি

ইএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img

সিরাজ আলী খান

প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপদ ও সম্মানিত না হওয়া পর্যন্ত আমি বাংলাদেশে আর ফিরব না Dec 21, 2025
img
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে প্রায় ১৮ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার Dec 21, 2025
img

ওসমান হাদি হত্যা

আসামি পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে পুনরায় রিমান্ডে সিবিউন-সঞ্জয় Dec 21, 2025
img
নিলামের মাধ্যমে আরও ৬ কোটি ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক Dec 21, 2025
img
রংপুরে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন জিএম কাদের Dec 21, 2025
img
প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ নারী ভলিবল দল Dec 21, 2025
img
রায় ঘোষণার পর নতুন বার্তা দিলেন ইমরান খান Dec 21, 2025
img
ছায়ানটে হামলায় কোয়েল ও চিরঞ্জিৎ এর প্রতিক্রিয়া! Dec 21, 2025
img
সোহেলের জন্মদিনে নজর কাড়লেন সালমান Dec 21, 2025
img
বিয়ের আট বছর পর বিচ্ছেদের কথায় মুখ খুললেন বিন্দু Dec 21, 2025
img

নাহিদ রানা

জাতীয় দলে ভালো করলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে এমনিতেই সুযোগ আসবে Dec 21, 2025
img
মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই বাজিমাত ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ Dec 21, 2025
img
হাদির হত্যাকারী দেশের বাইরে চলে গেছে, এমন তথ্য নেই : পুলিশ Dec 21, 2025
img

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২

সারাদেশে ৮দিনে গ্রেপ্তার ৬৫১৮ Dec 21, 2025
img
দ্বিতীয়বার মা হওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ভারতী Dec 21, 2025
img
এখন থেকে যৌথবাহিনীর অভিযান চলবে: ইসি সানাউল্লাহ Dec 21, 2025
img
হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফেরত আনতে রিট Dec 21, 2025
img
গাইবান্ধায় নিজ গ্রামে শায়িত হলেন শান্তিরক্ষী সবুজ Dec 21, 2025
img
সুদানে নিহত সেনাসদস্য মাসুদ রানার দাফন সম্পন্ন নাটোরে Dec 21, 2025
img
দেশের আকাশে রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Dec 21, 2025