মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সহায়তা পেতে হলে মামদানিকে ওয়াশিংটনের প্রতি ‘সম্মানজনক আচরণ’ করতে হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) রাতে জোহরান মামদানি প্রথম কোনো মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। ইতিহাস গড়ার পর মামদানি যখন তার দায়িত্ব গ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দলের সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছিলেন, তখনই ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন।
ট্রাম্প ফক্স নিউজের ব্রেট বায়ারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ওয়াশিংটনের প্রতি তাকে কিছুটা শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তা না হলে সফল হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। ওয়াশিংটন বলতে ট্রাম্প মূলত ফেডারেল সরকার এবং তার প্রশাসনকেই বুঝিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই সে সফল হোক। আমি চাই শহরটা সফল হোক।’ এরপর দ্রুত স্পষ্ট করেন, তিনি আসলে নিউইয়র্ক শহরকে সফল দেখতে চান, মামদানিকে নয়। এর আগে, গতকাল বুধবার ট্রাম্প এক ভাষণে বলেন, তার প্রশাসন নতুন মেয়রকে ‘সাহায্য করবে।’ তবে একই বক্তব্যে তিনি মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ বলেও আখ্যা দেন।
এদিকে মায়ামিতে দেওয়া বক্তৃতায় ট্রাম্প আরও বলেন, ফ্লোরিডা খুব শিগগিরই নিউইয়র্কের কমিউনিজম থেকে পালিয়ে আসা মানুষের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠবে। আমেরিকানদের সামনে এখন সিদ্ধান্ত খুব পরিষ্কার—আমরা কমিউনিজম বেছে নেব, না কমনসেন্স? আমরা অর্থনৈতিক দুঃস্বপ্ন নয়, বরং অর্থনৈতিক অলৌকিকতা চাই।
অন্যদিকে ব্যবসায়ী মহল, রক্ষণশীল গণমাধ্যম ও ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা সত্ত্বেও মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। বুধবার মামদানি বলেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী।
অভিবাসী মুসলিম এই রাজনীতিক কার্যত ‘আউটসাইডার’ থেকে মেয়র নির্বাচিত হয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। তিনি মজার ছলে বলেন, হোয়াইট হাউস থেকে এখনও আমাকে অভিনন্দন জানানো হয়নি।
তিনি আরও বলেন, কীভাবে আমরা একসঙ্গে নিউইয়র্কবাসীর সেবা করতে পারি সে বিষয়ে আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী। তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে, বিশেষ করে জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে কাজ করার সুযোগ আছে।
আইকে/এসএন