গণভোট না হলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না : গাজী আতাউর

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, অতি দ্রুত গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হবে না। দুইটার তফসিলও একসঙ্গে হবে না।

তিনি বলেন, প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না, দুইমাস পরে করেন। কিন্তু গণভোট ছাড়া কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না। রাষ্ট্র সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ৫ দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচির আগে রাজধানীর পল্টন মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

গাজী আতাউর রহমান বলেন, আমরা নভেম্বরে গণভোটের বিষয় বারবার বলেছি। আপনারা কালক্ষেপণ করছেন। এখন যদি নভেম্বরে গণভোট করতে না পারেন তাহলে যেদিন-ই দেন গণভোট আগে হতে হবে। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না, দুইমাস পরে করেন। কিন্তু গণভোট ছাড়া কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না। রাষ্ট্র সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। কারণ রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আমাদের তরুণ ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে। আমরা মাত্র আন্দোলন শুরু করেছি। আন্দোলন ক্রমে তীব্র হবে। আপনারা আন্দোলন চাইলে আন্দোলনই হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি সংস্কারকে বারবার বাধাগ্রস্ত করেছে, তারা রাষ্ট্র সংস্কার চায় না, সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চায় না। তাদের সিনিয়র নেতাদের কথাবার্তায় এটা বারবার স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের পরে দেশকে আর কোনো অবস্থায় আগের পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে দেওয়া যাবে না। তাই সংস্কার করতেই হবে। সেজন্য অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ দিতে হবে এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে তফসিলের আগেই গণভোট দিতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে আমাদের রাজপথে নামতে হবে, দাবি আদায়ে আন্দোলন করতে হবে- তা আমরা ভাবিনি। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের বাধ্য করেছে। তাদের তিনটা অঙ্গীকার ছিল। আমরা বলবো, সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করুন। সংস্কারের জন্য কমিশন হয়েছে, ঐকমত্য কমিশন হয়েছে, জুলাই সনদ হয়েছে, সনদে সাক্ষর হয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছে, সংস্কার বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়েও সবাই একমত হয়েছে- এখন গড়িমসি কীসের? আগামী ১০ তারিখের (১০ নভেম্বরের) মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি না হলে আমরা ঢাকায় লোকে লোকারণ্য করে সমাবেশ করবো, ইনশাআল্লাহ।

পল্টন মোড়ে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্মমহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ প্রমুখ।

টিজে/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কুয়াশার মধ্যে নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের উপায় Dec 24, 2025
img
‘দ্য প্যারাডাইস’-এ নানির সঙ্গে জুটি বাঁধছেন অভিনেত্রী কায়াদু লোহার Dec 24, 2025
img
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ : বুড়িচংয়ে ছাত্রলীগ ও আ. লীগের ৬ নেতা গ্রেপ্তার Dec 24, 2025
img
মনোনয়নপত্র নিতে এসে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা Dec 24, 2025
img
আনন্দ র‌্যালিতে গিয়ে প্রাণ হারালেন বিএনপি নেতা Dec 24, 2025
img
মেহেরপুরে মোটরসাইকেল ও ট্রলি সংঘর্ষে প্রাণ গেল যুবকের Dec 24, 2025
img
অস্ট্রেলিয়ায় হচ্ছে না ইতালির শীর্ষ লিগের ম্যাচ Dec 24, 2025
img
‘প্রজাপতি ২’ মুক্তির আগেই দেবের পরের ছবির খবর ফাঁস! Dec 24, 2025
img
রেস্তোরাঁয় অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে জ্যাকলিন, তারকাদের গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন Dec 24, 2025
img
সন্তানের কথা ভেবে, ‘টক্সিক’-এর শুটিংয়ে কাঁদতেন কিয়ারা আদভানি! Dec 24, 2025
img
সেটে ওড়না জড়িয়ে পোশাক বদলাতাম : মাধুরী দীক্ষিত Dec 24, 2025
img
অ্যাশেজ শেষ প্যাট কামিন্সের, বিশ্বকাপেও অনিশ্চিত! Dec 24, 2025
img
মেসিকে গান শোনাতে লন্ডন থেকে কলকাতায় এসে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা গায়কের Dec 24, 2025
img
দিপু চন্দ্র দাসের পরিবারের সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টার সাক্ষাৎ Dec 24, 2025
img
ভারতের বিরুদ্ধে আইসিসির কাছে নালিশ করবে পাকিস্তান Dec 24, 2025
কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন ঘেরাওয়ের চেষ্টা কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের Dec 24, 2025
img
পাকিস্তানি ক্রিকেটার মির্জা তাহিরকে দলে ভেড়াল চট্টগ্রাম রয়্যালস Dec 24, 2025
অভিযোগ গঠনের শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটরকে ট্রাইব্যুনালের ধমক Dec 24, 2025
শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে জাকসুর নতুন পদক্ষেপ Dec 24, 2025
img
তফসিলের পরও কিছু রাজনৈতিক দল বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে: গোলাম পরওয়ার Dec 24, 2025